কাজ করতেন দিল্লিতে। পেশায় সবজি বিক্রেতা করমবীর সিং লকডাউনের পর দিল্লি ছাড়েন। ২ দিন আগে এসে পৌঁছন তাঁর বাড়িতে। উত্তরপ্রদেশের শামলির বাসিন্দা করমবীর বাড়ি ফেরার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপরই তাঁকে করোনা সংক্রমিত সন্দেহে আইসোলেশনে রাখা হয়। যেখানে এই অস্থায়ী আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হয়েছিল সেটি একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি। সেখানই ভর্তি করা হয় তাঁকে। লালারস সংগ্রহ করে করোনা কিনা তা নিশ্চিত হতে পরীক্ষায় পাঠানো হয়।
করোনা হয়েছে সন্দেহে তাঁকে আইসোলেশনে রাখার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই যুবক। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি চরম পথ বেছে নেন। যে বাড়িটিতে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল সেই বাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। করমবীর ধরেই নিয়েছিলেন তাঁর করোনা হয়েছে। আর সে কারণেই মানসিক অবসাদ থেকে তিনি এই পথ বেছে নেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যখন করমবীর ঝাঁপ দেন তখনও কিন্তু করোনার রিপোর্ট আসেনি। এটাও নিশ্চিত হয়নি যে তাঁর করোনাই হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। লকডাউনের মধ্যেই এই খবর স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে করমবীর তাঁর ব্যবসায় প্রচুর লোকসানের সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেটাও তাঁর অবসাদ ও তা থেকে চরম পথ নেওয়ার কারণ কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা