National

কোয়ারেন্টিন শেষ করে আত্মঘাতী

ছিলেন কোয়ারেন্টিনে। দূরে কাজ করেন। ২০ মার্চ ফিরেছিলেন বাড়িতে। তখনই দেশজুড়ে ক্রমশ করোনার প্রকোপ বাড়ছিল। অনেক কিছুই বন্ধ হতে শুরু করেছিল। ২০ মার্চ বাড়ি ফেরার পরই তাঁকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তিনি ছিলেনও কোয়ারেন্টিনে। নিয়ম মেনে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হয় গত শুক্রবার। তাঁর করোনা পরীক্ষাও হয়। সেই পরীক্ষায় তাঁর দেহে করোনা পাওয়া যায়নি। ফলে কোয়ারেন্টিন থাকার আর দরকার ছিলনা তাঁর। কিন্তু কোয়ারেন্টিন শেষ করেই বাড়িতে নিজের ঘরে আত্মঘাতী হলেন এক ৪২ বছরের মধ্যবয়সী ব্যক্তি।

পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মানুষ করোনা হয়েছে বা হতে পারে ভেবে আত্মঘাতী হচ্ছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বিষয়টি একদম আলাদা ছিল। কারণ বিনোদভাই পুরুষোত্তমভাই চৌরাসিয়া শুক্রবারই জেনে যান যে তাঁর করোনা হয়নি। তবু তিনি কেন আত্মঘাতী হলেন? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে তাঁর পারিবারিক অশান্তি চরমে ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া ছিল প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। গুজরাটের পালানপুরের বাসিন্দা বিনোদভাই কাজ করতেন পরিবহণ দফতরে। কাজের জন্য থাকতেন মোরবি জেলায়। সেখান থেকে ছুটিছাটায় বাড়ি ফিরতেন। আর বাড়িতে তিনি ফেরা মানেই ছিল অশান্তি চরমে ওঠা।


পুলিশ এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পারিবারিক অশান্তি তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার কারণ হতে পারে বলে মনে করছে। তবে তদন্ত চলছে। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বিনোদভাইয়ের স্ত্রী ও ৩ সন্তান রয়েছে। যারমধ্যে একটির বয়স আড়াই বছর। তাঁর বাড়ির উপরের তলার একটি ঘরে সিলিং থেকে ঝুলে আত্মঘাতী হন ওই ব্যক্তি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button