চলছে লকডাউন। ট্রেন বন্ধ, বিমান বন্ধ, বন্ধ গাড়ি চলাচল। রাস্তা সুনসান। এমন কোনও যানবাহন নেই যাতে চেপে কেউ মহারাষ্ট্র থেকে তামিলনাড়ু ফিরতে পারেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা ফিরলেন। ফিরলেন ৭ যুবক।
মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে একটি কারখানায় কাজ করেন তাঁরা। লকডাউন ঘোষণার পরও সেখানেই ছিলেন। কিন্তু ২৯ মার্চ সকালে তাঁরা স্থির করেন বাড়ি ফিরবেন। সেইমত তাঁরা কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
৭ জন যুবকই তামিলনাড়ুর তিরুভারুর জেলার বাসিন্দা। সোলাপুরে যেখানে তাঁরা কাজ করেন সেখান থেকে তাঁদের বাড়ি ১ হাজার কিলোমিটার দূরে।
কীভাবে যাবেন তার কোনও নিশ্চিত পরিকল্পনাও তাঁদের নেই। তবু পথে নেমে চেষ্টা চালান তাঁরা। রাস্তায় বার হওয়ার পর কিছু দূরে তাঁরা একটি পেঁয়াজবাহী লরি পান। যা তামিলনাড়ুর সালেম পর্যন্ত যাচ্ছিল।
পণ্য পরিবহণে ছাড় রয়েছে লকডাউনে। তাই ওই লরি চালকের অনুমতি নিয়ে ৭ জন চড়ে যান লরিতে। লরি পৌঁছয় সালেমে। সেই পর্যন্ত পৌঁছনোর পর এবার আর উপায় নেই। আর কোনও গাড়ি নেই। অগত্যা হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা।
হেঁটে পৌঁছন ত্রিচি। সেখানে পুলিশ তাঁদের পরিচয় জানতে চায়। কেন রাস্তায় তাও জানতে চায়। সেসব উত্তর দেওয়ার পর ও তাঁদের কাগজপত্র দেখার পর পুলিশ তাঁদের জন্য ভেহিকল পাস ইস্যু করে।
সেই পাসের সাহায্যে একটি গাড়ি জোগাড় করে গত শনিবার তাঁরা পৌঁছন নিজেদের বাড়িতে। এভাবেই ১ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যেই ৭ যুবক ফিরলেন নিজের বাড়িতে। পরিবারের কাছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা