গ্রামে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে পালা করে টহল দিচ্ছেন গ্রামবাসী
গ্রাম প্রধানের অনুমতি ছাড়া গ্রামে কারও প্রবেশ নিষেধ
গ্রামে কোনও বাইরের লোক ঢুকতে পারবেন না। একটা গ্রাম নয়। এমন অনেকগুলি গ্রামের বাসিন্দারাই এই ফতোয়া জারি করেছেন। গ্রাম ঘিরে ফেলেছেন তাঁরা। যে যে রাস্তা ধরে গ্রামে প্রবেশ করা যায় তার সব কটি বন্ধ। সেখানে চলছে টহলদারি। গ্রামবাসীরাই পালা করে টহল দিচ্ছেন।
গ্রাম প্রধানের অনুমতি ছাড়া গ্রামে কারও প্রবেশ নিষেধ। করোনা সম্বন্ধে সচেতনতাই গ্রামবাসীদের এই পথ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাঁরা চাইছেন না বাইরে থেকে কারও প্রবেশ তাঁদের গ্রামে করোনার প্রবেশ নিশ্চিত করে।
উত্তরপ্রদেশের অনেকগুলি গ্রামে এমন ঘটনা নজর কেড়েছে প্রশাসনেরও। বাচলোতা গ্রামের মানুষজন তো আরও এক কদম এগিয়ে গ্রামের বাইরে লিখে দিয়েছিলেন কেউ নিষেধ সত্ত্বেও গ্রামে ঢুকলে তাঁকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। যদিও পুলিশ তা খুলিয়ে দেয়। তবে গ্রামে ঢোকার পথ আগলে গ্রামবাসীদের পালা করে টহল চলছে। কাউকে গ্রামে প্রবেশও করতে দেওয়া হচ্ছেনা।
অনেক গ্রামের পাশ দিয়ে গেছে রেললাইন। রেলস্টেশনের গেট থেকে যে রাস্তা সোজা গ্রামে বা বাজারের দিকে গেছে সেসব রাস্তাও আটকে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যাতে ট্রেনপথে এসে কেউ গ্রামে ঢুকতে না পারেন। যদিও এখন সব ট্রেন চলাচল বন্ধ। কেবল চলছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত মালবাহী ট্রেনগুলি।
এদিকে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা কিন্তু ভিন রাজ্যে বা দূরে কাজ করেন। ফিরছেন এখন বাড়িতে। তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে বটে, তবে তাঁদের থাকতে হচ্ছে গ্রামের ধারে তৈরি অস্থায়ী ছাউনিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা