স্থগিত হয়ে গেল ১ হাজার ৮০০ বিয়ে
১৮০০ বিয়ে ছাড়াও এমন অনেক বিয়ের দিন স্থির ছিল যেগুলি এতটা জাঁকজমক করে হতনা
লকডাউনের জেরে নতুন জীবন শুরু করার স্বপ্নও পিছিয়ে গেল। বাতিল করতে হল বিয়ের দিন। লকডাউনের মধ্যে বিয়ে অসম্ভব বলে স্থির করে পাত্র ও পাত্রীপক্ষ বিয়ের দিন বাতিল করেছেন। আবার সব স্বাভাবিক হলে স্থির হবে নতুন দিন।
আর যে পাত্রপাত্রী শুধু বিয়ে বলেই নয়, তাঁদের আগামী দিনগুলোকে অনেক দিন ধরে যত্ন করে পরিকল্পনা করে সাজিয়ে রেখেছিলেন। বিভোর ছিলেন এক স্বপ্নের মুহুর্তের অপেক্ষায় তাঁরা আপাতত সেই স্বপ্নকে বিশ্রামে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এক লখনউ শহরেই এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ১ হাজার ৮০০টি বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে গেছে।
এই হিসেব পাওয়া এখনও সম্ভব হয়েছে কারণ প্রশাসন মনে করছে এই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল বিভিন্ন হোটেলে। সেসব হোটেলে বুকিং করা ছিল আগে থেকে। সেগুলি এখন বাতিল করা হচ্ছে। ফলে এগুলোর কথা জানতে পারা যাচ্ছে।
এই ১ হাজার ৮০০ বিয়ে ছাড়াও এমন অনেক বিয়ের দিন স্থির ছিল যেগুলি হয়তো এতটা জাঁকজমক করে হতনা। সেখানে হোটেল বুক হয়নি।
এভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় হিসাব মত ১ লক্ষ মানুষের আর্থিক ক্ষতি হল। বহু মানুষ এই সময় তাঁদের রোজগার হারালেন। হোটেলের ক্ষতি হল, সেখানকার কর্মীদের ক্ষতি হল, যিনি ফুল দিতেন তাঁদের ক্ষতি হল।
এছাড়া ক্যাটারিং, মিষ্টি বিক্রেতা, ডেকরেটর, আলো যিনি দিতেন, হোটেল ছাড়া ছোটখাটো কমিউনিটি হলের কর্মী, এমন বহু মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন। তাঁদের যে আর্থিক ক্ষতি হল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
লকডাউনে যে অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা বারবার উঠে আসছে এটা তার একটি অতি ক্ষুদ্র উদাহরণ মাত্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা