বাড়ি ফেরার উপায় নেই, অবসাদে চরম পদক্ষেপ করলেন যুবক
বাড়ি ফিরতে না পারার অবসাদ তাঁকে ক্রমশ পেয়ে বসতে থাকে। ফোনে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে বাড়ি ফেরা সম্ভব ছিলনা তাঁর পক্ষে।
একটাই ঘরে ২ জনে থাকতেন। প্রায় সমবয়সী। বছর ২৪ বয়স। গত ১৩ মার্চ ২ জনের মধ্যে ১ জন আজিম বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু তখন ফেরেননি পেশায় গাড়ি মেকানিক মহম্মদ আমির। তিনি হায়দরাবাদেই থেকে যান। এদিকে দেশে লকডাউন ঘোষণা হয়। বিহারের বাসিন্দা আমির আটকে পড়েন হায়দরাবাদেই। বন্ধু আজিম ফিরলেও তিনি না ফিরতে পারায় ঘরে একাই থাকতে শুরু করেন আমির। এদিকে লকডাউন চলতে থাকে আর হাতে থাকা পুঁজি ফুরোতে শুরু করে আমিরের।
বাড়ি ফিরতে না পারার অবসাদ তাঁকে ক্রমশ পেয়ে বসতে থাকে। ফোনে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে বাড়ি ফেরা সম্ভব ছিলনা তাঁর পক্ষে। কাজও নেই। রোজগারও হচ্ছেনা। বাড়ি ভাড়া বাকি পড়ে আছে। সব কিছু নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে থাকেন ওই যুবক। বাড়ি থেকে অবশ্য তাঁকে আশ্বস্ত করা হয় যে তাঁকে বেশ কিছু টাকা পাঠিয়ে দেবে তারা। কিন্তু আমিরকে সবচেয়ে বেশি মানসিক অবসাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল এভাবে একা থাকা। আর বাড়ি ফিরতে না পারা।
গত সোমবার থেকে আমিরকে ফোন করেও পাচ্ছিলেননা বাড়ির লোকজন। আমিরও ফোন করছেন না। সব মিলিয়ে চিন্তিত পরিবার ফোন করে হায়দরাবাদে কাজ করতে আসা তাদের পরিচিত কয়েকজনকে। তাঁরা আমিরের খোঁজ নিতে পৌঁছন তাঁর ঘরে। ঘর খুলে ভিতরে ঢুকে আঁতকে ওঠেন তাঁরা। দেখেন সিলিং থেকে ঝুলছে আমিরের নিথর দেহ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা