প্রেমিকা আকাঙ্ক্ষাকে গলা টিপে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার আগে ঠিক একইভাবে নিজের বাবা-মাকেও খুন করেছিল উদয়ন দাস। শনিবার একথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সে। উদয়ন যতই মুখ খুলছে ততই চমকে চমকে উঠছে পুলিশ। দিল্লি আইআইটির প্রাক্তনী উদয়ন জানিয়েছে রায়পুরে তাদের বাড়ির বাগানেই মাটি খুঁড়ে বাবা-মাকে খুন করে সেই লাশ পুঁতে দেয় সে। ২০১১ সালে বাবা-মাকে খুন করে বাড়ির বাগানেই দুজনকে পুঁতে সেখানে একই কায়দায় বেদী বানিয়ে দেয় সে। রটিয়ে দেয় তার মা ঝাড়খণ্ড পুলিশের প্রাক্তন ডিজিপি আমেরিকায় চলে গেছেন। নিজের মোবাইলে নিউ ইয়র্ক নাম দিয়ে মায়ের একটা নম্বরও সেভ করে রাখে সে। বাবা-মাকে যেখানে পুঁতে বেদী বানানো হয়েছিল ছত্তিসগড়ের রায়পুরে গিয়ে প্রায়ই সেই বেদীতে পুজো করে আসত উদয়ন। কিন্তু কাউকে ঘুণাক্ষরেও বুঝতে দেয়নি বেদীর তলায় শুয়ে আছেন তারই হাতে খুন হওয়া দাস দম্পতি। এরপর আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে লিভ ইনে জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাকেও খুন করে কংক্রিট দিয়ে বাঁধিয়ে মার্বেল লাগিয়ে সেখানে বেদী বানিয়ে পুজো শুরু করে উদয়ন।
এদিন জেরার মুখে উদয়ন বাবা-মাকে হত্যার কথা জানানোর পর তাকে নিয়ে রায়পুরে রওনা দেয় পুলিশ। সেখানে বাগান থেকে তার বাবা-মায়ের লাশ উদ্ধার করাই লক্ষ্য পুলিশের। পুলিশে দেখতে চাইছে উদয়ন সত্যি কথা বলছে কিনা। এদিকে আকাঙ্ক্ষা শর্মার দেহ বাঁকুড়ায় না এনে তাঁর শেষকৃত্য হল ভোপালেই। সূত্রের খবর, শনিবারই ভোপালে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দাদা। পুলিশ মনে করছে গত জুলাই মাসেই আকাঙ্ক্ষাকে গলা টিপে খুন করা হয়েছিল। সেই দেহ এতদিন লোহার বাক্সে কংক্রিটের পিছনে থেকে এতটাই ভয়ানক অবস্থায় পৌঁছেছে যে দেহ কোথাও নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় নেই। ফলে ভোপালেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হচ্ছে। এদিকে ট্রানজিট রিমান্ডে আকাঙ্ক্ষার প্রেমিক উদয়ন দাসকে আগামী রবিবার বাঁকুড়ায় নিয়ে আসা হতে পারে।