বৃদ্ধাকে গুলি করছে প্রতিবেশি, ছবি তুলতে ব্যস্ত বাকিরা
ঝগড়া শুরুর পর সেখানে গ্রামের অনেকই হাজির হয়ে যান। সকলে এদিক ওদিক দাঁড়িয়ে ২ জনের ঝগড়া দেখছিলেন। এমন সময় হাতে থাকা বন্দুক যামবতীর দিকে উঁচিয়ে ধরে মনু।
বাড়ির সামনেই বসে ছিলেন ৬২ বছরের যামবতী। সেই সময় সেখানে হাজির হয় প্রতিবেশি মনু। মনু শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষম। তার হাতে ছিল বন্দুক। যামবতীর সামনে আসার পর ২ জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
ঝগড়া শুরুর পর সেখানে গ্রামের অনেকই হাজির হয়ে যান। সকলে এদিক ওদিক দাঁড়িয়ে ২ জনের ঝগড়া দেখছিলেন। এমন সময় হাতে থাকা বন্দুক যামবতীর দিকে উঁচিয়ে ধরে মনু। চালিয়ে দেয় গুলি। খুব কাছ থেকে গুলি করায় গুলিতে লুটিয়ে পড়েন যামবতী।
আশপাশে দাঁড়ানো মানুষজন এই ঘটনা দেখার পরও মোবাইলে ছবি তুলতেই ব্যস্ত ছিলেন। কেউ আটকানোর চেষ্টাই করেননি। কয়েকজন মনুকে মানা করেন এমন করতে। মনু তাঁদের দিকে একবার তাকায়। তারপর কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে তার বন্দুকে ফের গুলি ভরে। তারপর ফের লুটিয়ে পড়া যামবতীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখনও কিন্তু আশপাশে দাঁড়ানো গ্রামবাসীরা মোবাইলে ছবি তুলতেই ব্যস্ত ছিলেন।
পুলিশ এসে গ্রামের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করে। অবশেষে একটি বাড়ি থেকে পাকড়াও করা হয় মনুকে। তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ জেলার হোলদেলপুর গ্রামে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পেরেছে যামবতীকে ছেড়ে তাঁর স্বামী ৩ বছর আগেই চলে গেছেন। তারপর থেকে একাই বাড়িতে থাকতেন ওই বৃদ্ধা। এদিকে যামবতীর বাড়িটির দখল চাইছিল মনু। অনেক দিন ধরেই এই চেষ্টা চলছিল।
পুলিশ মনে করছে বাড়ি দখল করতে না পেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা এই ঘটনার সময় মনুকে আটকানোর চেষ্টা না করে ছবি তুলছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা