স্বামী আটকে পঞ্জাবে, রেশন ডিলারের লালসার শিকার তরুণী গৃহবধূ
রেশন দোকানে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়ানোর পরও তাঁকে রেশন দিতে অস্বীকার করে রেশন ডিলার। পরে তাঁকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে বলে জানায় সে।
স্বামী গিয়েছিলেন পঞ্জাবে। সেখানে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়েন তিনি। এদিকে ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী একা। যেটুকু বাড়িতে খাবার ছিল তাও শেষ হয় লকডাউনের মধ্যে।
অবশেষে ওই ২৩ বছরের তরুণী গৃহবধূকে খাবার যোগান দিতে থাকেন তাঁর বাড়িওয়ালার পরিবার। কিন্তু কদিন আগে তাঁরাও জানিয়ে দেন তাঁদের ভাঁড়ারও শূন্য হতে চলেছে। তাই তাঁদের পক্ষে আর হয়তো ওই গৃহবধূকে খাবার দেওয়া সম্ভব হবে না। এদিকে এরমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকার বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। সেইমত ওই গৃহবধূ যান নিজের ভাগের রেশন নিতে।
অভিযোগ, রেশন দোকানে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়ানোর পরও তাঁকে রেশন দিতে অস্বীকার করে রেশন ডিলার। পরে তাঁকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে বলে জানায় সে। হাতে একটাও টাকা নেই। ফলে গৃহবধূর খাবার কেনার অর্থ হাতে ছিলনা। ওই ডিলার গৃহবধূর ঘরে সন্ধেয় হাজির হয়। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁকে ফ্রি রেশন দেবে বলে এসে বিনোদ নামে ওই রেশন ডিলার তাঁকে ঘরে একা পেয়ে তার পাশবিক লালসা চরিতার্থ করে।
এই ঘটনার পর ওই গৃহবধূ পুলিশে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে বিনোদ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে ওই তরুণী গৃহবধূর বাড়িওয়ালা স্বীকার করেছেন যে ওই তরুণীর হাতে টাকা ছিলনা। তাঁর পরিবার থেকেই খাবার যাচ্ছিল।
এদিকে সরকারের নির্দেশমতো বিনামূল্যে রেশন পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে মহিলাকে লালসার শিকার বানানোয় ওই এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শামলিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা