করোনা পরীক্ষা না করে স্বামীকেই বাড়িতে ঢুকতে দিলেন না স্ত্রী
আগে স্বামীকে করোনা পরীক্ষা করে আসতে হবে। যতক্ষণ না তিনি নিশ্চিত হচ্ছেন যে স্বামীর করোনা নেই ততক্ষণ তিনি তাঁকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেবেন না।
করোনা ভীতি যে কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে তার একটা উদাহরণ হয়ে রইল একটি ঘটনা। যেখানে স্ত্রী তাঁর স্বামীকেই বাড়িতে ঢুকতে দিলেন না। কেননা তিনি লকডাউনে আটকে পড়ার পর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু এত কষ্ট করে ফেরার পর তাঁকে বাড়ির চৌকাঠ পার করতে দেননি তাঁর স্ত্রী।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আগে তাঁর স্বামীকে করোনা পরীক্ষা করে আসতে হবে। যতক্ষণ না তিনি নিশ্চিত হচ্ছেন যে স্বামীর করোনা নেই। ততক্ষণ তিনি তাঁকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন স্ত্রী। অগত্যা ফিরতে হয় স্বামীকে। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে পরীক্ষা করাতে নিয়ে যান।
ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার ভেঙ্কটাগিরিতে। ওই মহিলার স্বামী নেল্লোর শহরে সোনার দোকানে কাজ করেন। লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় তিনি সেখানে আটকে পড়েন। তারপর থেকে নেল্লোরেই কাটাতে হচ্ছিল তাঁকে। বাড়ি ফিরতে পারছিলেননা। অবশেষে গত বুধবার তিনি বাড়ি ফিরতে সমর্থ হন।
অনেক কষ্ট করেই বাড়িতে ফেরেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্ত্রী জানিয়ে দেন নিজেদের সন্তান ও গ্রামের বাকিদের কথা মাথায় রেখে স্বামীকে তিনি কিছুতেই বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না।
ওই মহিলা স্বামীকে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থাকার পরামর্শ দেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন যাতে তাঁর স্বামীর করোনা পরীক্ষা দ্রুত করা যায়। স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যান নেল্লোরে। সেখানে তাঁর করোনা পরীক্ষাও হয়।
করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। ফলে তিনি অবশেষে নিজের বাড়িতেই প্রবেশাধিকার পান। পরে ওই মহিলা জানান তিনি তাঁর সন্তান ও গ্রামের মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই স্বামীকে বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা করতে পাঠান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা