সোমবার থেকে কিসে কিসে ছাড়, তালিকা দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে চলেছে আগামী ২০ এপ্রিল সোমবার থেকে? সেদিকে একবার নজর দেওয়া যাক।
গত শনিবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক হয়। তারপর রবিবারই একটি তালিকা তৈরি করে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ২০ এপ্রিল থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়। কিন্তু কি কি সেই ক্ষেত্র? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। এবার তা পরিস্কার করে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
এদিন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ট্যুইট করে সেই তালিকা প্রকাশ করেন। তবে এটাও জানিয়ে দেন এই ছাড় কনন্টেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যেখানে করোনার প্রকোপ নেই বা থাকলেও তা গুরুত্ব দেওয়ার মত নয়, সেখানেই এই ছাড় থাকবে।
সেইসঙ্গে কেন্দ্র এটাও জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য সরকারের হাতে ক্ষমতা রয়েছে যে তারা মনে করলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এই ছাড় প্রযোজ্য নাও হতে দিতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে চলেছে আগামী ২০ এপ্রিল সোমবার থেকে? সেদিকে একবার নজর দেওয়া যাক।
লকডাউনের মধ্যেও সোমবার থেকে ছাড় পেতে চলেছে স্বাস্থ্য পরিষেবা, কৃষিকাজ, উদ্যানপালন, মৎস্য ও পশুপালন। এছাড়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি, নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন, জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও গ্রামাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পের কাজে ছাড় মিলবে।
ছাড় মিলবে বাঁশ, নারকেল, সুপারি, কোকোয়া, মশলা চাষ ও তা মাঠ থেকে সংগ্রহ করে বাজারজাত করা, ফল ও আনাজের গাড়ি, স্যানিটারি জিনিস বিক্রির দোকান, মুদিখানা, রেশন দোকান, দুধের বুথ, পোলট্রি, মাংস, মাছ ও পশুখাদ্যের দোকানে।
এর বাইরেও ছাড় রয়েছে কিছু পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষের। যার মধ্যে রয়েছেন ইলেক্ট্রিশিয়ান, কম্পিউটার সারানোর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, মোটর মেকানিক, কলের মিস্ত্রি, ছুতোর, কুরিয়ার, ডিটিএইচ বা কেবল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি। তবে তাঁদের শর্তসাপেক্ষে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প, সরকারি কাজের জন্য কল সেন্টারে ছাড় মিললেও এখানে শর্ত হল ৫০ শতাংশের বেশি কর্মচারি নিয়ে কাজ করা যাবেনা। শর্তসাপেক্ষে হাইওয়েতে ধাবাও খোলা যাবে। মনরেগা-কেও লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা