মা, ভাইবোনকে হত্যা করতে চাপ বাবার, চরম পদক্ষেপ করল মেয়ে
মা ও ৩ ভাইবোন বাবা-কাকার দিক থেকে আসা মানসিক চাপ সামলাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে
তার মা, বড় দাদা ও বোনকে হত্যা করার জন্য চাপ দিচ্ছিল তার বাবা। বাবার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল তার কাকা ও তার এক তুতোভাই। তার সঙ্গেও অশালীন আচরণ করত তারা। তাদের হাতে শ্লীলতাহানিরও শিকার হয়েছে সে। মা ও তারা ৩ ভাইবোন দিনের পর দিন বাবা-কাকার দিক থেকে আসা নানা মানসিক চাপ সামলাতে সামলাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।
এরমধ্যেই একদিন তার কাকা এসে তার হাতে একটি দেশি পিস্তল দেয়। তার বাবা, কাকা ও তুতোভাই তাকে চাপ দেয় যে ওই পিস্তল দিয়ে তাকে তার মা ও ২ ভাইবোনকে হত্যা করতে হবে। একটি ৪ পাতার সুইসাইড নোট ও একটি ভিডিও বার্তা থেকে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।
পিস্তল দিয়ে তার মা ও ভাইবোনকে হত্যা করতে তাকে যেভাবে চাপ দেওয়া হয় তা সে মেনে নিতে পারছিলনা। এই প্রবল মানসিক চাপ সে নিতে পারেনি। তাই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল। মা, ভাইবোনকে সে হত্যা করতে পারবেনা। সে এই চাপ সামলাতে সামলাতে ক্লান্ত। তাই সে আত্মহত্যার পথই বেছে নিল। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। এটা গত ১৬ এপ্রিলের ঘটনা।
ওই ঘটনার পর ১৬ বছরের কিশোরীর ভিডিও বার্তা যেটি সে আত্মহত্যার আগে তৈরি করে পাবলিশ করে দেয় বলে মনে করছে পুলিশ, সেটি সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়তে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। গ্রেফতার করা হয় ওই কিশোরীর বাবাকে। যদিও পুলিশ আসার আগেই চম্পট দেয় কিশোরীর কাকা ও তুতোভাই। পুলিশ তাদের খোঁজ করছে।
এদিকে ওই কিশোরী এও জানিয়েছে তার বাবা প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেছিল তার মাকে বিয়ে করার আগে। প্রথমপক্ষের ৪ সন্তানকেও হত্যা করে তার বাবা। তার কাকাও একবার জেল খেটেছে। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা