সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঝগড়া গড়াল হত্যায়
সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সব অভিভাবকই চিন্তিত হন। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী আলোচনাও করে থাকেন। কিন্তু তা যে হত্যায় গড়াতে পারে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ মিলল।
লকডাউন চলছে। তারওপর ওই এলাকায় এত বেশি করোনা ছড়াচ্ছে যে সেটিকে একদম বিচ্ছিন্ন করেছে প্রশাসন। ফলে সেখান থেকে বার হওয়া বা ঢোকার উপায় নেই। এই অবস্থায় সকলেই বাড়িতে। শনিবার তখন রাত ভোর। ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৩টে। পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে জানানো হয় যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ওই এলাকার একটি বাড়িতে তুমুল ঝগড়া হচ্ছে। শুনে পুলিশ দ্রুত সেখানে হাজির হয়। দেখে এক মহিলা মৃত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। তাঁর স্বামী নিজেই পুলিশকে জানায় যে সেই তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির জেজে কলোনিতে। এই এলাকাটিকে আলাদা করে সিল করেছে প্রশাসন। কারণ এখানে করোনা রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এখানেই একটি ঘরে থাকত পেশায় সবজি বিক্রেতা রাইসুল আজম, তার স্ত্রী গুলশন ও তাদের ৯টি ছেলেমেয়ে। ৩৪ বছরের আজম ও স্ত্রী ৩৯ বছরের গুলশনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছে। একে অপরের দ্বিতীয়পক্ষ। ২ জনের বিয়ে হয়েছে কয়েক মাস হল। আজমের প্রথমপক্ষের ৩ সন্তান। গুলশনের প্রথমপক্ষের ৬ সন্তান একই জায়গায় থাকে। আর এই ৯ সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েই শনিবার রাতে ঝগড়া লাগে ২ জনের মধ্যে।
পুলিশ জানাচ্ছে, আজম নিজেই সব কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। আজম জানিয়েছে, তাদের ঝগড়া এক সময় চরমে ওঠে। সেই অবস্থায় সহ্য করতে না পেরে সে একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ার পর গুলশনের মৃত্যু হয়। আজম সবকথা জানিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা