লকডাউন ৩.০, রেড জোনের কিসে ছাড়, কিসে নেই
করোনা চেন ভাঙতে দেশে তৃতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যেখানে সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি থাকছে রেড জোনে।
৩ মে শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। তারপর থেকে আরও ২ সপ্তাহের জন্য তৃতীয় দফার লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জেলাভিত্তিক ৩টি জোনে ভেঙে নেওয়া হয়েছে দেশকে। সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি থাকছে রেড জোনের জন্য। তৃতীয় দফার লকডাউনে রেড জোনে কী করা যাবে আর কি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সেগুলি মেনে চলতে হবে সকলকে। কেন্দ্র প্রকাশিত তালিকায় দেশের ১৩০টি জেলা রেড জোন।
রেড জোনে পুরসভার অন্তর্গত এলাকায় খোলা থাকবে না শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স ও অন্য বাজার। তবে মার্কেট কমপ্লেক্সে যে দোকানগুলি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিক্রি করে সেগুলি খোলা রাখা যাবে। এছাড়া পাড়ার দোকান, আবাসনে থাকা দোকান, আশপাশে অন্য দোকান নেই এমন দোকান খোলা রাখা যাবে বলেই উল্লেখ। রেড জোনে সাইকেল রিক্সা, অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব, সেলুন খোলা যাবে না। বন্ধ থাকবে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা।
বিধিনিষেধ মেনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যেসব গাড়ি রাস্তায় বার হওয়ার পারমিট পাবে সেক্ষেত্রে ৪ চাকার ক্ষেত্রে চালক ছাড়া পিছনের সিটে ২ জন সর্বাধিক যেতে পারবেন। বাইকের ক্ষেত্রে কেবল যিনি চালাচ্ছেন তিনি থাকতে পারবেন। পিছনের সিটে কাউকে বসানো যাবেনা। শহরাঞ্চলে অবস্থিত স্পেশাল ইকোনমিক জোন, রফতানির সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদন, ওষুধ সংস্থা, ওষুধ উৎপাদন, তথ্যপ্রযুক্তি হার্ডওয়্যার খোলা থাকবে।
গ্রামাঞ্চলে অত্যাবশ্যকীয় বা অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন জিনিসপত্রের সব দোকানই খোলা থাকবে। তবে মল খোলা যাবেনা। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহে ই-কমার্স পরিষেবা চালু থাকবে। বেসরকারি অফিসও খোলা যেতে পারে। তবে সেখানে ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। বাকিরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। সরকারি অফিসে ডেপুটি সেক্রেটারি স্তর ও তার ওপরের স্তরের আধিকারিকরা ১০০ শতাংশই কাজে যোগ দেবেন। তবে তার নিচের স্তরে থাকা কর্মচারিদের সর্বাধিক ৩৩ শতাংশ অফিস আসবেন। জন পরিষেবা নিশ্চিত করতে যত জন কর্মচারি প্রয়োজন তাঁদের কাজে লাগানো যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা