চটুল গানে যুবককে নাচতে বাধ্য করে বিপাকে পুলিশ
এক যুবক পুলিশ স্টেশনের মধ্যেই উদ্দাম নেমে চলেছেন। চটুল গানের সঙ্গে তাঁর নাচ তারিয়ে উপভোগ করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই বিপাকে পুলিশ।
নাচটা খারাপ নাচেন না ওই যুবক। অন্তত ভিডিওতে যা দেখা গেছে তাতে তাঁর নাচে দক্ষতা বেশ ভালই বলে মেনে নিচ্ছেন অনেকে। নীল জামা, কালো প্যান্ট, মাথায় চুল সেই অর্থে নেই। ওই যুবক নেচে চলেছেন। আর তাঁর চারধারে কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে মজা করছেন পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা। হাসিঠাট্টাও চলছে। পিছনে নাগাড়ে বেজে চলেছে গায়িকা স্বপ্না চৌধুরির গাওয়া ‘তেরি আঁখো কা ইয়ো কাজল’। পুলিশকর্মীরা তারিয়ে উপভোগ করছেন ওই যুবকের বিরামহীন নাচ। এই ভিডিও ভাইরাল করেছে খোদ সমাজবাদী পার্টি। আর তা সামনে আসতেই মহা বিপাকে পড়েছে পুলিশ। পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সাসপেন্ড করতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশর ইটাওয়াতে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক লকডাউনের আইন ভেঙে রাস্তায় বার হওয়ায় তাঁকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। লকডাউন ভাঙায় পুলিশের নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ রয়েছে। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে ইটাওয়ার ওই পুলিশ স্টেশন হাঁটে তাদের তৈরি নিয়মে বলে অভিযোগ। ওই যুবককে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে এসে লকডাউন ভাঙার শাস্তি স্বরূপ তাঁকে স্বপ্না চৌধুরীর গানের সঙ্গে নাচতে বাধ্য করা হয়। এরমধ্যেই এক কনস্টেবলের হাতে নিগ্রহের শিকার হন ওই যুবক। ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও এরপর ভাইরাল করে দেয় সমাজবাদী পার্টি।
সমাজবাদী পার্টির দাবি ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার বিবা মাউ গ্রামের বাসিন্দা। শুধু নাচানোই নয়, ওই যুবককে নৃশংসভাবে মারধরও করেছেন এক কনস্টেবল বলে দাবি করেছে সপা। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, সুনীল যাদব নামে ওই যুবককে পুলিশ ধরতে গেলে তিনি একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারপরই তাঁকে আটক করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা