অভিনব বিয়ে, সীমান্তে বসেই এক হল চার হাত
প্রেমের সুমধুর পরিণতিতে বাধা হল না লকডাউনে সিল হওয়া সীমান্ত। ইচ্ছে থাকলে যে অভিনব সব উপায়ও বার হয় তা দেখিয়ে দিল ২ তরুণ হৃদয়ের পরিণয়।
বিয়ে ঠিক হয়েছিল আগেই। বর কনের বাড়িতে সব ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লকডাউন চিন্তার ভাঁজ পুরু করেছিল। আর তা যে সঠিক ছিল তা বোঝা যায় বিয়ের দিন যত কাছে এগোতে থাকে তত। এক সময়ে এসে শুধু লকডাউন বলেই নয়, হবু বর অরবিন্দের বাড়ি পড়ে গেল করোনা রেড জোনে। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের রেহার এলাকায়। অন্যদিকে কনে ২৫ বছরের ছায়ারানির বাড়ি আবার পড়ল গ্রিন জোনে। তাঁর বাড়ি উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগরে। লকডাউনের নিয়মানুসারে বড় করে বিয়ের অনুষ্ঠানও বন্ধ। আর ২টি রাজ্যের মধ্যে যাতায়াতও। কিন্তু ২ পরিবার স্থির করে বিয়ে নির্ধারিত দিনেই করতে হবে। বিশেষত পাত্রপক্ষ।
বিয়ের দিন ছিল গত শনিবার। ওইদিন রেড জোনে থাকা পাত্র অরবিন্দ কুমার অনেক চেষ্টা করে একটি ট্রাভেল পাস যোগাড় করেন। তারপর পাত্রীর বাড়ির দিকে রওনা হন। বিজনৌর সীমান্তে তাঁদের গাড়ি আটকায় পুলিশ। জানিয়ে দেয় এক, ২টি জেলার মধ্যে যাতায়াত বন্ধ। সীমানা সিল করা রয়েছে। দুই, রেড জোনে থাকা কাউকে গ্রিন জোনে ঢুকতে দেওয়ার প্রশ্নই নেই। অগত্যা সেখানেই দাঁড়িয়ে পাত্রীর বাড়িতে ফোন করেন পাত্র। জানান পাত্রী ও পুরোহিতকে নিয়ে যেন তাঁরা যেখানে রয়েছেন সেখানে চলে আসেন পাত্রীপক্ষ।
পাত্রী হাজির হন কনের বেশে। পাত্র তো বর বেশে ছিলেনই। এরপর পুলিশকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলেন ২ পক্ষ। জানান, তাঁরা কেউ কোথাও যাবেননা। কেবল তাঁদের এই সীমান্তেই বসে বিয়েটা হতে দেওয়া হোক। বিয়ের সময় সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখবেন সকলে। পুলিশ প্রথমে এমন আবদারে অবাক হলেও পরে রাজি হয়। পুলিশ চেকপোস্টেই বিয়ে হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে সব কাজ হয় সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে। অবশেষে পরিবার সহ পুলিশের কাছে বর-কনে আশীর্বাদ নেন। উপস্থিত পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা ২ জনকে আশীর্বাদ করেন, অভিনন্দন জানান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা