করোনার মধ্যে গ্রীষ্মে এবার নতুন আম ‘ডক্টর ম্যাঙ্গো’
এই প্রথম এমন আম গাছে ফলল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই নতুন আমের ধরণ পেল তার নাম। নাম হল ‘ডক্টর ম্যাঙ্গো’।
নবাবের শহর লখনউ ছাড়িয়ে কিছুটা দূরে মালিহাবাদ। এখানকার আমের সুনাম যথেষ্ট। এখানে এক ব্যক্তি রয়েছেন নাম হাজি কলিমুল্লা। কিন্তু তাঁকে এই নামে বিশেষ কেউ চেনেন না। একডাকে চেনেন ম্যাঙ্গো ম্যান বললে। কলিমুল্লা হলেন মালিহাবাদের ম্যাঙ্গো ম্যান। যাঁর নিজেরই আমের বিশাল বাগান রয়েছে। সেখানে প্রচুর ফলন হয়। নিজে দেখভাল করেন সব আমের। সেইসঙ্গে ২টি প্রজাতির আমের শঙ্কর ঘটিয়ে নতুন আম ফলানোয় কলিমুল্লা সিদ্ধহস্ত। তেমনই একটি আম তিনি ফলিয়েছেন তাঁর বাগানে। যেহেতু এই একদম নতুন আমটি করোনা উদ্বেগের মধ্যেই জন্ম নিল তাই করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে জীবনকে তুচ্ছ করে লড়াই চালিয়ে যাওয়া চিকিৎসকদের সেলাম জানিয়ে কলিমুল্লা তাঁর এই নয়া আমের নাম রেখেছেন ডক্টর ম্যাঙ্গো।
এই ডক্টর ম্যাঙ্গো আদপে দশেরি ঘরানার আম। এটির বিশেষত্ব হল এই আম অনেকদিন ভাল থাকে। আর এর মিষ্টত্ব যে কোনও আম বিলাসীকে বিভোর করে দিতে পারে। হাজি কলিমুল্লাকে মালিহাবাদের মানুষ একডাকে চেনেন। অবশ্যই তাঁর অদ্ভুত ক্ষমতার জন্য। তিনি আম সম্বন্ধে এতটাই ভাল জানেন, আম গাছকে হাতের তালুর মত চেনেন যে একটি আম গাছে তিনি ৩০০ রকম আমের ধরণ ফলিয়ে মানুষকে চমকে দিয়েছিলেন একসময়ে। তাঁর এই অদ্ভুত আম ফলানোর ক্ষমতার জন্য তিনি পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত হন।
কলিমুল্লা আম ফলানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই আমটিকে বিখ্যাত মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে দেন। তাঁর একটি আমের ধরণ নাম পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। একটি পেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। একটি পেয়েছে শচীন তেন্ডুলকরের। আর অন্য একটি পেয়েছে ঐশ্বর্য রাইয়ের নাম। কলিমুল্লার আরও এক আশ্চর্য আম হল আনারকলি। আনারকলি আমের বিশেষত্ব হল এই আমের ২টি স্তর থাকে। ২টি আলাদা আলাদা শাঁস। ২টি শাঁসের আলাদা আলাদা স্বাদ ও গন্ধ। অথচ আম কিন্তু ওপর থেকে একটিই। এমনই অত্যাশ্চর্য আমের জন্মদাতা ম্যাঙ্গো ম্যান এবার তাঁর নতুন আম দিয়ে সেলাম জানালেন করোনার বিরুদ্ধে লড়ে চলা চিকিৎসকদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা