করোনার মধ্যেই নতুন উপদ্রব আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার
সারা দেশ হিমসিম খাচ্ছে করোনা নিয়ে। তারমধ্যেই হুহু করে ছড়াচ্ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার। সরকারের চাপ বাড়ছে।
বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রও। প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে অসম সরকারকে। কারণ আপাতত অসমেই হুহু করে বাড়ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার। যার জেরে কার্যত মড়ক লেগেছে শূকরদের মধ্যে। প্রায় ৩ হাজার শূকরের প্রাণ গেছে এই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারে। যারফলে কোভিড সামলে নতুন চাপ তৈরি হয়েছে অসম সরকারের ওপর। চিন্তিত কেন্দ্রও অসমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ইতিমধ্যেই শূকরদের যেখানে যেখানে বেশি বসবাস সেসব এলাকাকে চিহ্নিত করে কন্টেনমেন্ট জোন করা শুরু হয়ে গেছে।
প্রশাসন থেকে পশু চিকিৎসক, সকলকে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলেছে এই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারে মৃত্যুর হার। এই রোগের শিকার হলে শূকরদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ। অর্থাৎ সহজ করে বললে একবার এই রোগে আক্রান্ত হলে কোনও শূকরের আর বিশেষ বাঁচার সুযোগ নেই। সেইসঙ্গে তার থেকে দ্রুত এই রোগ পাশে থাকা শূকরদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সেখানে শূকরদের মড়ক লাগছে।
অসমে এখন প্রায় ৩০ লক্ষ শূকরের বাস। কিন্তু এই রোগ যে গতিতে ছড়াচ্ছে তাতে শূকরদের বেঁচে থাকা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন ও পশু চিকিৎসকেরা। কারণ এই রোগ থেকে শূকরদের বাঁচানোর কোনও ওষুধ নেই। আবার কালিং যে শুরু করবে তেমনও কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি। যা এক সময়ে বার্ড ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল। খামারের পর খামার মুরগি কালিং করা হয়েছিল। মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। অসমের যেখানেই শূকরদের বসবাস বেশি সেসব জায়গা স্যানিটাইজ করা শুরু হয়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা