অ্যাপ ব্যবহার করে পুলিশ সুপার সেজে ফোন, গ্রেফতার যুবক
পুলিশ সুপার সেজে ফোন। সাজানো প্লট। তবু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের জালে গ্রেফতার হল যুবক।
গত রবিবার বিকেলে থানায় একটি ফোন আসে। পুলিশ সুপারের ফোন। তটস্থ হয়ে ওঠেন থানার আধিকারিক। ফোনে তাঁকে ওপার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় এসপি অফিস থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে যেন তাঁর ফোনটি ওই অফিসার সংগ্রহ করেন। দ্রুত সেটি সারানোর বন্দোবস্ত করেন। অন্যথায় তাঁকে ফল ভুগতে হবে। স্বয়ং পুলিশ সুপারের নির্দেশ। ফোনে ফুটে ওঠে যে পুলিশ সুপার ফোন করেছেন। তাই ওই আধিকারিক ফোন সংগ্রহ করার তোড়জোড় শুরু করেন। অন্যদিকে এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছেও এমনভাবেই পুলিশ সুপার ফোন করেছেন দেখা যায়। ব্যবসায়ীকে নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁর ফোনটি সংগ্রহ করে যেন কোতোয়ালি থানার স্টেশন হাউস অফিসারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এরপর ফের একটি ফোন আসে কোতোয়ালি থানার এসএইচও-এর কাছে। তাঁকে বলা হয় ফোন সংগ্রহ করার জায়গা বদল হয়েছে। ওই আধিকারিক জানতে চান তাহলে কোথায় তিনি নেবেন ফোনটি। পুলিশ জানাচ্ছে, ফোনের ওপার থেকে নতুন জায়গা বলতে কিছুটা আমতা আমতা করতে দেখা যায়। তখনই সন্দেহ হয় ওই আধিকারিকের। এদিকে তাঁর ফোন দেখাচ্ছে ফোনটি করেছেন এসপি আজমগড়। তখন ওই আধিকারিক সোজা এসপি অফিসে ফোন করে এমন কোনও ফোন এসপি করেছেন কিনা জানতে চান।
এসপি অফিস থেকে স্পষ্ট জানানো হয় এসপি ত্রিবেণী সিং এমন কোনও ফোন করেননি। পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় এসপি-র নাম করে অন্য কেউ ফোন করছে। এরপর কিছু বুঝতে না দিয়ে ওই ফোনে বলা নির্দিষ্ট জায়গায় হাজির হয় পুলিশ। সেখানে দেখা যায় একটি গাড়ি নিয়ে হাজির রয়েছেন এক ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসায়ী যাঁকে ফোন করে খারাপ হওয়া ফোন সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। ওই ব্যবসায়ী এরপর জানিয়ে দেন কার কাছ থেকে তিনি ওই ফোন সংগ্রহ করেছেন পুলিশকে সারাতে দেওয়ার জন্য।
ব্যবসায়ীর বলা ঠিকানায় হাজির হয় পুলিশ। আজমগড়ের বিলারিয়া এলাকা থেকে বছর ২৩-এর যুবক শুভম উপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে এসপি সেজে ফোনের কথা স্বীকার করেছে ওই যুবক। তার দাবি, সে এখন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছে। ফোনই ভরসা। কিন্তু গত শনিবার তার ফোন খারাপ হয়ে যায়। স্থানীয় কেউ সারাতে পারেনি। ফলে রবিবার লখনউ যাওয়ার চেষ্টা করে সে। কিন্তু লকডাউনের কারণে সীমান্তে ব্যারিকেড থাকায় যেতে পারেনি। তারপরই সে ফন্দি আঁটে। একটি অ্যাপ অন্য ফোনে নামিয়ে সেই ফ্রি কল অ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা