তামিলনাড়ুর কুর্সির লড়াইয়ে নয়া মোড়। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়ার পরই গোল্ডেন বে রিসর্টে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শশীকলা।
সম্ভবত এমন কিছু আন্দাজ করে প্ল্যান বি তৈরি করেই রেখেছিলেন জয়ললিতার ছায়াসঙ্গি। চেয়েছিলেন একান্তই যদি তাঁকে জেলে যেতে হয় হবে তাঁর পছন্দের কাউকেই তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দিয়ে যাবেন।
সূত্রের খবর, সেইমত বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক, পনিরসেলভম সহ ২০ জন বিধায়ককে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দুই, পালানিস্বামী নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সামনে আনা হয়। শশীকলা শিবিরের দাবি, তাঁদের দিকে দলীয় বিধায়কদের সমর্থনের পাল্লা ভারী।
এদিকে শশীকলা তাঁর দুই পাতার বিবৃতিতে দলীয় ক্যাডারদের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তাঁরা বহিষ্কৃত বিধায়কদের সংশ্রব এড়িয়ে চলেন। দলীয় নীতি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণেই এঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শশী।
এদিকে এই তালিকায় রাজ্যের স্পিকারও রয়েছেন। তবে পনিরের সমর্থনে এগিয়ে আসা এডিএমকের ১২ জন সাংসদ ও ৮ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেননি শশীকলা।