স্ত্রীকে হত্যা করে কানের দুল নিয়ে পালাল স্বামী
স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী। হত্যার পর মৃতার কানে থাকা সোনার দুল নিয়ে চম্পট দেয় সে।
৬ বছর হল বিয়ে হয়েছে। তাদের একটি ৪ বছরের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়ে রয়েছে। প্রশান্ত ও লক্ষ্মীদেবীর সংসার ভালই চলছিল। সমস্যা দানা বাঁধতে শুরু করে প্রশান্তর মদে আসক্তি ক্রমশ বাড়তে থাকায়। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তিও হত। লকডাউনের মধ্যেই খুলেছে মদের দোকান। যা বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। তারপর তা খোলার পর দেশজুড়ে মদের দোকানে দোকানে লম্বা লাইন পড়ে। মদের দোকান খুলে যাওয়ায় মদ্যপানে আসক্ত প্রশান্ত মদ কেনার জন্য উঠেপড়ে লাগে।
স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী জানিয়ে দেন তিনি মদ কেনার জন্য স্বামীকে একটা টাকাও দেবেন না। আর তাতেই স্ত্রীর ওপর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে প্রশান্ত। ঝগড়া চরমে ওঠে। এই সময় রাগের মাথায় একটা চেলা কাঠ তুলে নেয় প্রশান্ত। তারপর বসিয়ে দেয় স্ত্রীরে মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তখনই মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন লক্ষ্মীদেবী। লক্ষ্মীদেবী লুটিয়ে পড়তেই তাঁর কানে থাকা সোনার দুল টেনে খুলে নেয় প্রশান্ত। তারপর সেখান থেকে চম্পট দেয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় কাতর আর্তনাদ করতে থাকেন লক্ষ্মীদেবী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। চিৎকার শুনে পড়শিরা ছুটে আসেন সেখানে। পুলিশে খবর যায়। পুলিশ এসে লক্ষ্মীদেবীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। লক্ষ্মীদেবীর বাবা-মা জামাই প্রশান্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন। প্রশান্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলার বামরুলিয়া গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা