এইমস থেকেই বেপাত্তা, ৩ দিন পর মিলল তরুণীর দেহ
গত ৬ মে দিল্লি এইমস চত্বর থেকে বেপাত্তা হয়ে যান এক তরুণী। ৩ দিন পর তাঁর দেহ উদ্ধার হল।
মা ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ভর্তি ছিলেন দিল্লি এইমস-এ। মায়ের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। ওই মহিলার স্বামী ও মেয়ে হাসপাতালেই উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। গত ৬ মে ওই মহিলার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষ হয়। মৃত্যু হয় তাঁর। মায়ের মৃত্যুর পর বাবার সঙ্গে হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কাজ সমাপ্ত করছিলেন ওই ২৩ বছরের তরুণী। তাঁর বাবা যখন কিছু লেখার কাজ করছিলেন সেই সময় ওই তরুণী এক ফাঁকে হাসপাতালে থেকে বেরিয়ে যান।
এইমস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ ছিলনা। তাঁকে ফোনেও পাওয়া যায়নি। পুলিশে খবর দেওয়ার পর পুলিশ ওই তরুণীর খোঁজ শুরু করে। কিন্তু লকডাউনে থাকা দিল্লিতে ওই তরুণীর কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশও। তবে তল্লাশি জারি ছিল। অবশেষে ৩ দিন পর তাঁর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মায়ের মৃত্যুর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি ওই তরুণী। তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর এমনই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে ঠিক কী ঘটেছিল তা এখনও পরিস্কার নয়। তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্ত্রী ও মেয়েকে হারানোর শোকে কার্যত বাকরুদ্ধ ওই তরুণীর বাবা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা