অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল দিল্লির বান্টি অউর বাবলি
বলিউড সুপারহিট সিনেমা বান্টি অউর বাবলি দেখেই তারা অনুপ্রাণিত হয়। অবশেষে বমাল পুলিশের জালে ধরা পড়ল দিল্লির বান্টি অউর বাবলি।
বলিউডের টানটান সিনেমা বান্টি অউর বাবলি ২ চোরের কাহিনি। এক যুবক, যুবতী হাতে হাত মিলিয়ে নানা ফন্দি করে চুরি করত। সেই সিনেমা দেখেই তাদের মাথায় আসে এভাবে চুরি করা যায়। সবে ৩ মাস হল বিয়ে হয়েছে ২ জনের। তারপর তো লকডাউন চালু। তাতে কী! অর্জুন আর সীমা তাদের বিবাহিত জীবন শুরুই করে চুরি দিয়ে। আচমকাই দিল্লির বুকে গজিয়ে ওঠা এই বান্টি ও বাবলি-কে নিয়ে হিমসিম খাচ্ছিল পুলিশও।
অর্জুন ও সীমার চুরির ধরণটা ছিল এক। তারা একটি সাদা স্কুটিতে কোথা থেকে উদয় হত। স্কুটি চালাত অর্জুন। আর পিছনের সিটে ওত পেতে বসে থাকত সীমা। রাস্তা দিয়ে কাউকে মোবাইল কানে যেতে দেখলেই তারা শুরু করত তাদের অপারেশন। প্রবল গতিতে আসা স্কুটি ওই ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছোঁ মেরে সীমা ছিনিয়ে নিত ওই মোবাইল। তারপর নিমেষে স্কুটি মিলিয়ে যেত দূর রাস্তায়। পরপর এমন অভিযোগে দিল্লি পুলিশ জেরবার হয়ে যাচ্ছিল।
দিল্লি পুলিশ এরপর অর্জুন সীমার চেহারার যে বর্ণনা অন্যের কাছ থেকে পাচ্ছিল তা দিয়ে বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছিল যে এরা পুরনো অপরাধী কিনা। পুলিশ এরপর তাদের মুখটা কেমন তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা শুরু করে। তাতে মুখ বোঝা না গেলেও চেহারাটা মোটামুটি বুঝতে পারে পুলিশ। শুরু হয় খোঁজ। বেশ কিছুদিন এমন চলার পর অবশেষে পুলিশ জানতে পারে দিল্লির বুকে গজিয়ে ওঠা এই তথাকথিত বান্টি ও বাবলি লুকিয়ে আছে কিষণগঞ্জ রেলওয়ে কলোনিতে। সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। চুরি যাওয়া মালও উদ্ধার হয়। পুলিশ জানাচ্ছে অর্জুন ও সীমা ২ জনেই মাদকাসক্ত। নিষিদ্ধ মাদক কেনার অর্থ যোগাড় করতেই তারা এই ছিনতাইয়ের পথ ধরেছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা