বাড়ি ফেরার কোনও রাস্তা খোলা নেই, অবসাদ নিল প্রাণ
বাড়ি ফেরার কোনও রাস্তাই খোলা নেই। চাইলেই বাড়ি ফেরা যাবে না। এই অবসাদ প্রাণ কাড়ল এক তরতাজা তরুণীর।
মাত্র ৩ মাস হল কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। একটি ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজে যোগ দেন। রাতদিনের পরিচারিকা। ওই ফ্ল্যাটেই থাকা। এই শর্তেই কাজে যোগ দেন অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার বাসিন্দা ইরাবল্লি। মাত্র ২০ বছর বয়স। বাড়ির প্রতি একটা টান মাঝে মধ্যেই অনুভব করতেন। কিন্তু হায়দরাবাদের মণিকোন্দা এলাকার বর্ধিষ্ণু ল্যানকো হিলস-এর একটি ফ্ল্যাটে কর্মরত ইরাবল্লির পক্ষে এতটা পথ চাইলেই যাওয়া সম্ভব ছিলনা। আর লকডাউন শুরুর পর তো নয়ই। লকডাউন শুরুর আগেই তিনি ওই ফ্ল্যাটে কাজে যোগ দেন। তারপর লকডাউন। এরমধ্যেই কদিন আগে ইরাবল্লি খবর পান তাঁর দিদির সন্তান হয়েছে।
দিদির সন্তানকে দেখতে চেয়ে মাকে ফোন করেন ইরাবল্লি। জানান তিনি খুব দ্রুত বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তাঁর মা ফোনে তাঁকে জানান, লকডাউনে আসার উপায় নেই। তাই তিনি যেন এখন আসার কথা মাথা থেকে বার করে দেন। কারণ ফেরার উপায় নেই। এটা জানার পর থেকেই মানসিক অবসাদ চরমে পৌঁছয় ইরাবল্লির। বুধবার তিনি ১৫ তলার ওই ফ্ল্যাটেই নিজের কাজ করছিলেন। আচমকাই ফ্ল্যাটের জানালা থেকে নিচে ঝাঁপ দেন ইরাবল্লি।
১৫ তলা থেকে নিচে পড়ার পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান এটা আত্মহত্যাই। লকডাউনে বাড়ি ফিরতে না পারার অবসাদ ইরাবল্লিকে পেয়ে বসেছিল। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ইরাবল্লির বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা