তবু বাড়ি ফেরা হল না ২ পরিযায়ী শ্রমিকের
বাড়ি আর ফেরা হল না। এতদিন ধরে লকডাউনে থাকার পর যখন বাড়ি ফেরা ছিল সময়ের অপেক্ষা। তখনও তা অধরাই রয়ে গেল।
লকডাউনে বাড়ি ফিরতে এখন কার্যত মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। যাঁদের ট্রেনে ফেরার মত সঙ্গতি আছে তাঁরা শ্রমিক স্পেশালে চেষ্টা করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ফিরছেন বাড়িতে। এমনই এক পরিযায়ী শ্রমিকের দল নিজের রাজ্যের মধ্যেই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ফিরছিল। বাসেই ফিরছিল তারা। ২৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে কাটিহার যাচ্ছিলেন এই শ্রমিকরা।
বিহারের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছন। একটি জেলা থেকে অন্য জেলায় পৌঁছন। এটুকু যেতে পারলেই বাড়ি। বাস ছুটছিল বাড়ির দিকে। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রমিকদের নিয়ে ছুটে চলা বাসটি ২৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর তখন সমস্তিপুর জেলার শঙ্কর চেকপোস্টের কাছে। এই সময় উল্টো দিক থেকে ছুটে আসছিল একটি ট্রাক। ২ যানই প্রবল গতিতে থাকায় কেউই কাউকে কাটাতে পারেনি। মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ২ গাড়ির।
পুলিশ জানাচ্ছে ২ গাড়িরই সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ২ পরিযায়ী শ্রমিকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। অনেক শ্রমিক আহত। এঁদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তেও পারে। ঘটনার জেরে ২৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। লকডাউনে অল্পসংখ্যক গাড়িই যাচ্ছে। কিন্তু সেগুলিও আটকে পড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা