কলকাতা থেকে ফেরার পথে রাস্তাতেই মাথা ঘুরে পড়ে মৃত পরিযায়ী শ্রমিক
বাড়ি ফিরতে বহু পরিযায়ী শ্রমিকই বেছে নিচ্ছেন হেঁটে ফেরার রাস্তা। কিন্তু সকলের বাড়ি ফেরা হচ্ছেনা। যেমন হল না কলকাতায় কাজ করতে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিকের।
ভুবনেশ্বর : কাজ করতেন কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায়। ওড়িশার পুরী জেলার তিকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ধুবি চরণ মোহান্তি এতদিন লকডাউনের মধ্যে এই শহরেই ছিলেন। অবশেষে তিনি স্থির করেন আর নয়। বাড়ি ফিরবেন তিনি।
পকেটে তেমন পয়সাকড়ি নেই। অগত্যা হেঁটেই প্রতিবেশি রাজ্যে নিজের বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ধুবি চরণ। ৫৬ বছরের ওই প্রৌঢ় এরপর হাঁটা শুরু করেন। কলকাতা থেকে হাঁটতে হাঁটতে তিনি এক সময় পৌঁছে যান ওড়িশা সীমান্তে। ওড়িশায় ঢুকেও পড়েন। বালাসোর জেলার লক্ষ্মণনাথ চেকপোস্ট পার করেন।
এই ভরা গ্রীষ্মে মাথার ওপর আগুন ঢালছে সূর্য। পিচ গলছে গরমে। তারমধ্যে ধূধূ রাস্তা ধরে হেঁটে চলা। এই চরম পরিস্থিতি সহ্য করতে পারেনি ধুবি চরণের শরীর। চেকপোস্ট পার করে আচমকাই রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে শুক্রবার যখন এভাবে এক পরিযায়ী শ্রমিক সানস্ট্রোক হয়ে রাস্তায় পড়ে মারা গেলেন, তখনই ওড়িশা সরকার ঘোষণা করল অন্য রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ওড়িশার রাস্তা ধরে আর হাঁটতে দেওয়া হবে না।
ওড়িশা সরকার জানিয়ে দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা ওড়িশা সীমানা পার করলেই তাঁদের জন্য বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করবে সরকার। তাঁদের জন্য বাড়ি ফেরার গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা। গাড়িতেই তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেবে সরকার।
এমনকি যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য থেকে ওড়িশায় গিয়েছিলেন, তাঁদের বাড়ি ফেরার হলে ওড়িশা সীমান্ত পর্যন্ত গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে ওড়িশা সরকারই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা