পরিযায়ী শ্রমিকদের তাড়া করে পেটাল পুলিশ
লকডাউনে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর এখন নিজের নিজের বাড়িতে ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বেতপেটা করল পুলিশ।
চণ্ডীগড় : বেশকিছু মানুষ রাস্তা দিয়ে ছুটে পালানোর চেষ্টা করছেন। আর তাঁদের দিকে লাঠি নিয়ে তাড়া করেছে পুলিশ। এই দৃশ্য ধরা পড়ল উত্তরপ্রদেশ-হরিয়ানা সীমান্তের কাছে। পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হতে হয়েছে অনেক পরিযায়ী শ্রমিককে। অনেকে পুলিশের মার থেকে বাঁচতে মালপত্র রাস্তায় ফেলেই ছুট দেন। কেউ সাইকেল ফেলে ছুট লাগান তাঁদের জন্য তৈরি সেন্টারের দিকে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ উত্তরপ্রদেশ সীমান্তের দিকে হাঁটা লাগিয়েছিলেন। তাঁদের যেতে মানা করা সত্ত্বেও না শোনায় বাধ্য হয়েই তাদের লাঠিচার্জ করতে হয়।
পুলিশের এহেন আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই অবশ্য প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবার নিয়ে চরম কষ্ট শিকার করেও অনেক জায়গায় হাঁটছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। অবশ্য দীর্ঘদিন তাঁরা এই চরম কষ্ট শিকার করার পর এখন কিছু রাজ্যসরকার জানিয়েছে এভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের আর হাঁটার দরকার নেই। তারা তাদের রাজ্যে এভাবে হাঁটার অনুমতি দেবেনা।
সরকার সে জায়গায় বাস বা অন্য কোনও যানের ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর বন্দোবস্ত করছে। উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশার মত জায়গায় এই ব্যবস্থা হালে চালু করা হয়েছে। কিন্তু ক্লান্ত মানুষগুলো আর অপেক্ষাও করতে পারছেন না। সেখানে তাঁদের সঙ্গে এমন আচরণ কেন? প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার যমুনানগরে। এখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি সেন্টার করা হয়েছে। এখানে তাঁদের রাখার পর পরীক্ষা করে তারপর উত্তরপ্রদেশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই সেন্টার ছেড়ে বাড়ি ফেরার জন্য যেতে গিয়েই হরিয়ানা পুলিশের নিগ্রহের শিকার হতে হয় শ্রমিকদের।
এক শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা আর কখনও এখানে কাজে ফেরত আসবেন না। লুধিয়ানা থেকে ৬ দিন ধরে হেঁটে এখানে পৌঁছন তাঁরা। নদী পার করে, চাষ জমির ধার ধরে হেঁটে আসতে হয়েছে। কারণ হাইওয়ে দিয়ে হাঁটা মানা। তারপর তাঁদের সাহায্য করার বদলে পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা