স্ত্রী, ছেলে, মেয়েকে পরপর গুলি, নিজে ঝুলল সিলিং থেকে
স্ত্রী ও ২ সন্তানকে পরপর গুলি করে মারল এক সিআরপিএফ জওয়ান। পরে তার দেহও ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার ঘাড়ে গুলি কেন? উঠছে প্রশ্ন।
প্রয়াগরাজ (উত্তরপ্রদেশ) : সিআরপিএফ জওয়ান বিনোদ যাদব পরিবার নিয়ে যে সিআরপিএফ কোয়ার্টারে থাকত তার ঠিক উল্টো দিকের বাড়িতে এক মহিলা একাই থাকতেন। কর্মসূত্রে তাঁর স্বামী বাইরে থাকেন। ওই মহিলা সিআরপিএফ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করেন যে বছর খানেক ধরে বিনোদ তাঁকে আপত্তিকর মন্তব্য করে চলেছে।
অভিযোগ পাওয়ার পর বিনোদকে গত শুক্রবার ডেকে পাঠান সিনিয়র অফিসারেরা। ওইদিন রাতে বিনোদ বাড়ি ফিরে অশান্তি শুরু করে। পরিবারে ঝগড়া চরমে উঠলে প্রতিবেশিরা তা থামানোর চেষ্টা করেন। তখন প্রতিবেশিদের সঙ্গেও অশান্তি শুরু হয়। প্রতিবেশিদের তাদের পারিবারিক বিষয় থেকে দূরে থাকতে বলে বিনোদ।
প্রতিবেশিরা চলে যান। গত শনিবার বিনোদের বাড়ি থেকে গুলি চলার শব্দ পাওয়া যায়। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। পুলিশ এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে। ঘরে ঢোকার পর সিআরপিএফ-এর ২২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নে গাড়িচালক হিসাবে কর্মরত বিনোদ যাদবের স্ত্রী ৩৬ বছরের বিমলা, ১৪ বছরের ছেলে সন্দীপ ও ১২ বছরের মেয়ে সিমরনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা।
ঘরের মধ্যে বিনোদ যাদবকেও সিলিং থেকে ঝুলতে দেখেন তাঁরা। দেহ নিচে নামানোর পর পুলিশকর্মীরা লক্ষ্য করেন বিনোদের ঘাড়ের কাছে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এখানে প্রশ্ন উঠছে যে ব্যক্তি সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে, সে আবার নিজেকে গুলি করতে যাবে কেন? তাছাড়া নিজেকে এভাবে গুলি করার পর আবার সিলিং থেকে ঝোলা কী আদৌ সম্ভব?
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিনোদ যাদব মদ্যপানেও আসক্ত ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলার পাডিলা এলাকার সিআরপিএফ কোয়ার্টারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা