বাড়ি ফিরতে মাঠে থিকথিকে ভিড়, শিকেয় সামাজিক দূরত্ব
হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমল মাঠে। প্রশাসন সেখান থেকে তাঁদের বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করল ঠিকই, কিন্তু সারাদিন এই থিকথিকে ভিড় সামাজিক দূরত্ববিধির পরিহাস বানিয়ে ছাড়ল।
গাজিয়াবাদ : পরিযায়ী শ্রমিকরা এখন বাড়ি ফিরছেন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। প্রায় ২ মাস বাড়ি থেকে দূরে কাজকর্মহীনভাবে লকডাউনের মধ্যে কাটাতে কাটাতে তাঁরা এখন কার্যত বাড়ি ফিরতে মরিয়া। গ্রীষ্মের এই গরমের সঙ্গে লড়াই করে দিনের পর দিন পথ হাঁটছেন তাঁরা। আবার কেউ ট্রেনে, বাসে যাচ্ছেন বাড়ি।
রাজ্যসরকারগুলি তাঁদের ফেরার বন্দোবস্তও করছে। কিন্তু সেই বন্দোবস্তে সামাজিক দূরত্ববিধি অনেক সময়েই শিকেয় উঠছে। যার চমকে ওঠার মত উদাহরণ হয়ে রইল গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দান।
দিল্লি হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য প্রশাসনের পরামর্শেই সোমবার সকাল থেকে গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দানে ভিড় জমতে থাকে। ক্রমশ ভিড় বাড়তে বাড়তে এক সময় হাজার হাজার মানুষের থিকথিকে ভিড়ে মাঠ পূর্ণ হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় বাড়ি ফেরার জন্য গাদাগাদি, ধাক্কাধাক্কি। মহিলা, পুরুষ সকলেই একসঙ্গে লড়াই করতে থাকেন বাড়ির যান পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে। ফলে সেখানে সামাজিক দূরত্ব কার্যত পরিহাসে পরিণত হয়।
পুলিশ প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেও এই ভিড়কে সহজে বাগে আনতে পারেনি। প্রবল ভিড়, ঠাসাঠাসি সমালাতে পুলিশকে হিমসিম খেতে হয়। ক্রমে পরিযায়ী শ্রমিকদের এক এক করে ট্রেনে বাসে চড়ার বন্দোবস্ত করা হতে থাকে। ফলে দেখা যায় দুপুরের পর রামলীলা ময়দান অনেকটা ফাঁকা হয়। কিন্তু সারাদিনে সেখানে হাজার হাজার মানুষের যে ঠাসাঠাসি ভিড় হল তাতে করোনা চেন ভাঙার রাস্তা কী আদৌ পরিস্কার হল?
এত মানুষ যে বাড়িতে থেকে লড়াই করছেন তাতে কী এই ধরনের ঘটনা জল ঢালছে না? প্রশ্ন উঠছে। কারণ এদিন গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দান বলেই নয়, যেসব বাসে করে শ্রমিকরা ফিরছেন তেমন বেশ কিছু বাস বোঝাই অবস্থায় গেছে। অনেক বাসে শ্রমিকদের ভিতরে তিলমাত্র জায়গা না থাকায় দরজা ধরে ঝুলতেও দেখা গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা