বাবাকে নিয়ে সাইকেলে ১২০০ কিলোমিটার, মুগ্ধ ট্রাম্পকন্যা
সাইকেলে চাপিয়ে বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরল এক কিশোরী। যা মুগ্ধ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পকেও।
নয়াদিল্লি : লকডাউনে হেঁটে হোক বা সাইকেলে চেপে হোক এমনকি রিকশা কিনে তাতে পরিবারকে চাপিয়েও কেউ কেউ বাড়ি ফিরেছেন শত শত কিলোমিটার পার করে। এঁরা পরিযায়ী শ্রমিক। আর এই পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা বারবার লকডাউনের সময় উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। এমনই এক ব্যক্তি কাজের সূত্রে থাকতেন গুরুগ্রামে। সেখানে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন তিনি। লকডাউনের মধ্যেই তিনি একটি দুর্ঘটনার শিকার হন। ফলে পায়ে চোট লাগে।
বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা মোহন পাসোয়ান এরপর আর গুরুগ্রামের বাড়ি থেকে বার হতে পারেননি। তিনি ও তাঁর মেয়ে ওই অবস্থাতেই লকডাউনের মধ্যে ওখানেই প্রায় দেড় মাস কাটানোর পর অবশেষে গত ১০ মে মোহনের ১৫ বছরের মেয়ে জ্যোতি কুমারী একটি সাইকেল জোগাড় করে তাতে বাবাকে বসায়। তারপর সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দেয় দ্বারভাঙার দিকে। টানা ৭ দিন সাইকেল চালিয়ে অবশেষে সে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রমও করে। বাবাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে ওই কিশোরী।
এই খবর পড়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়ে তথা পরামর্শদাতা ইভাঙ্কা ট্রাম্প জ্যোতি কুমারীর এই সফরকে বাহবা জানিয়ে লেখেন জ্যোতির সুন্দর দুটি পা ধৈর্য ও ভালবাসার কথা জানাল ভারতবাসীকে। নজর কাড়ল সাইকেল ফেডারেশনেরও। ইভাঙ্কার এই বক্তব্যকে অবশ্য কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। জ্যোতির দারিদ্র ও অসহায় পরিস্থিতিতে মরিয়া এই প্রচেষ্টা, ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার সাইকেল যাত্রাকে রোমহর্ষক ব্যাপার বলে তুল ধরার চেষ্টা করেছেন ইভাঙ্কা বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা