আশ্রমে ঢুকে সাধুকে হত্যা
রাতের অন্ধকারে আশ্রমে ঢুকে এক সাধুকে হত্যা করল ২ ডাকাত। পরে আবার তাদেরই ১ জনের দেহ উদ্ধার হয় আশ্রম থেকে দূরে।
নাঁদেড় (মহারাষ্ট্র) : গত শনিবার তখন গভীর রাত। গোটা আশ্রমটাই নিদ্রামগ্ন। সেই অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে আশ্রম চত্বরে প্রবেশ করে ২ ডাকাত। তারা সোজা হাজির হয় আশ্রমের প্রধান শিবাচার্য নির্বাণরুদ্র পশুপতিনাথ মহারাজের ঘরে। সময় নষ্ট না করে দ্রুত মহারাজের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় তারা। তারপর দ্রুত তুলে নিতে থাকে মহারাজের ল্যাপটপ, ঘরে রাখা ৬৯ হাজার টাকা এবং অন্যান্য দামি জিনিসপত্র। যার সব মিলিয়ে মূল্য দাঁড়ায় দেড় লক্ষ টাকা। এছাড়া তারা হাতিয়ে নেয় মহারাজের গাড়ির চাবি।
চোখে লঙ্কা গুঁড়ো পড়ায় চোখ জ্বলছে। তা সত্ত্বেও ২ জনকে চেপে ধরে আটকানোর চেষ্টা করেন মহারাজ। তাদের পথ আটকানোর চেষ্টা হাওয়ায় এবার ওই মহারাজকে হত্যা করে ২ ডাকাত। হত্যার পর তারা জিনিসপত্র নিয়ে চেপে বসে মহারাজেরই গাড়িতে। কিন্তু গাড়ি নিয়ে আশ্রম থেকে বার হতে গিয়েই হয় বিপত্তি। গাড়ি গিয়ে সোজা ধাক্কা মারে আশ্রমের গেটে। যার প্রবল আওয়াজে আশ্রমিকরা উঠে পড়েন। দ্রুত তাঁরা বেরিয়ে আসছেন দেখে ২ ডাকাত গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে উঠে পড়ে আশ্রমের বাইরে দাঁড় করানো মোটরবাইকে।
আশ্রমিকরা পৌঁছতে পৌঁছতেই অন্ধকারে মিলিয়ে যায় ২ ডাকাত। দ্রুত পুলিশে খবর যায়। পুলিশ এসে মহারাজের দেহ উদ্ধার করে। এদিকে ওই আশ্রম থেকে কিছুটা দূরেই ২ ডাকাতের মধ্যে ১ জনের বুলেটবিদ্ধ দেহ পায় পুলিশ। পুলিশের অনুমান ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অশান্তির কারণেই এক ডাকাত অন্যকে হত্যা করে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাঁদেড়-এ।
শিবাচার্য নির্বাণরুদ্র পশুপতিনাথ মহারাজ আদপে কর্ণাটকের বাসিন্দা। তিনি এখানে বছর দশেক আগে এসে আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে তিনি বেশ কয়েকজন আশ্রমিকের সঙ্গেই থাকতেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা