ভাঙল চেয়ার, উপড়ে ফেলা হল মাউথপিস, ছিঁড়ে কুচিকুচি করা হল প্রয়োজনীয় নথি, তছনছ করা হল বিধানসভার আসবাব। তারসঙ্গে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি তো আছেই। কেউ তেড়ে গেলেন স্পিকারের দিকে। তো স্পিকার উঠে গেলে কেউ গিয়ে বসে পড়লেন তাঁর চেয়ারে। এমনই একের পর এক নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ রইল তামিলনাড়ু বিধানসভায় রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর আস্থাভোট।
ধুন্ধুমার শুরু হয়েছিল শনিবার সকালে বিধানসভা বসার পরেই। ডিএমকে বিধায়কেরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। চেষ্টা চলে আস্থাভোট ভেস্তে দেওয়ার। ফলে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। বিরোধী বিধায়কদের টার্গেট ছিলেন স্পিকার ধনপাল।
এদিন সকাল থেকেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়। এমনকি ধনপালের অভিযোগ তাঁকে হেনস্থাই শুধু নয়, তাঁর জামাও ছিঁড়ে দেন বিরোধী বিধায়কেরা। অবশেষে কয়েকজন বিরোধী বিধায়ককে বহিষ্কার করেন তিনি। ফলে আস্থা ভোটে ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকেন ডিএমকে সহ বিরোধী বিধায়কেরা।
এদিকে বিকেলে স্পিকার ভোটাভুটি করান। আস্থা ভোটে ১২২-১১ ব্যবধানে জয়ী হন পালানিস্বামী। স্পিকার জানান, ভোটাভুটি সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই হয়েছে। আর তাতে পালানিস্বামী জয়ী হয়েছেন। বিরোধীদের আচরণে বিরক্ত স্পিকার এও জানান, বিরোধীরা ভোটাভুটিতে অংশ নিলেও ফলাফল বলে দিচ্ছে তাতেও পালানিস্বামীর জয় আটকানো যেতনা।
এদিকে এদিন বিধানসভার বাইরে এডিএমকে নেত্রী শশীকলা নটরাজনের কুশপুতুল দাহ করেন বিরোধীরা। তাতে অবশ্য তাঁর জয় আটকায়নি। কারণ গারদের পিছনে থেকেও তাঁর মাস্টারপ্ল্যানে কুপোকাত দলের পনিরসেলভম গোষ্ঠী। সঙ্গে ধরাশায়ী বিরোধী ডিএমকে।
শশীকলা শিবিরের নেতাদের দাবি, এই পরাজয় নিশ্চিত জেনেই এদিন সকাল থেকে অধিবেশন ভেস্তে দেওয়ার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে গেছেন বিরোধী বিধায়কেরা। বিনষ্ট করেছেন বিধানসভার মর্যাদা। অপমান করেছেন স্পিকারের সাংবিধানিক পদমর্যাদাকেও।