National

শ্রমিক পরিবারকে বিমানে বাড়ি ফেরাল ১২ বছরের মেয়ে

মাত্র ১২ বছর বয়সে সে যে মানবিকতার পরিচয় দিল তাতে গোটা দেশ এখন ধন্য ধন্য করছে। এক পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারকে বিমানে বাড়ি ফিরিয়ে হৈচৈ ফেলে দিল নীহারিকা।

নয়ডা : তাকে একবার তার ঠাকুমা বলেছিলেন কারও চোখের দিকে চাইলে বুঝতে পারবে সে কতটা কষ্টে আছে। কথাটা ভোলেনি ১২ বছরের মেয়েটা। এখন যখন সে দেশজুড়ে লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের চরম দুর্দশার কথা শুনছে তখন শ্রমিকদের সেই কষ্ট তাকে ছুঁয়ে যায়। সে বাড়িতে জানায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সেও কিছু করতে চায়। তাও তার নিজের জমানো টাকায়!

নয়ডার সেক্টর ৫০-এর বাসিন্দা নীহারিকা দ্বিবেদী তার বাবা-মাকে সব জানানোর পর তাঁরাও তাকে সমর্থন করেন। তার ভাবনাকে সম্মান করেন। নীহারিকা এরপর যোগাযোগ করে একটি এনজিওর সঙ্গে। এভাবে সে জানতে পারে একটি পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার নয়ডায় কাজ করত। লকডাউনে কাজ হারিয়েছে তারা। বাবা, মা ও তাদের এক সন্তান কোনওক্রমে নয়ডা থেকে দিল্লি গিয়ে সেখানে একটি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তৈরি অস্থায়ী আস্তানায় থাকছে। বাড়ি ফিরতে চায় তারা। কিন্তু পকেটে টাকা নেই। নীহারিকা এটাও জানতে পারে যে পেয়ারি কল নামে ওই শ্রমিক ক্যানসার আক্রান্ত।


এটা জানার পরই নীহারিকা তার পিগি ব্যাঙ্ক ভেঙে তাতে এতদিন ধরে তিল তিল করে জমানো তার সঞ্চিত অর্থ বার করে। দেখা যায় তাতে ১৭ হাজার টাকা রয়েছে। সে ওই টাকা দিয়ে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা পেয়ারি কল, তাঁর স্ত্রী সুশীলা ও মেয়ে কাজলের দিল্লি থেকে রাঁচির বিমানের টিকিট কেটে দেয়। মেয়ের এই উদ্যোগে গর্বিত নীহারিকার বাবা নিজে গিয়ে ওই পরিবারকে বিমানবন্দরে পৌঁছেও আসেন। নীহারিকার পিগি ব্যাঙ্ক এখন ফের শূন্য। তবে তার মন খুশিতে পরিপূর্ণ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button