বোনকে স্বামীর লালসার হাত থেকে বাঁচাতে কুঠারের কোপ গর্ভবতী স্ত্রীর
তাঁর বোনকে জোর করে ধর্ষণ করছে তাঁর স্বামী। এটা দেখার পর আর স্থির থাকতে পারলেন না স্ত্রী।
জয়পুর : কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরই সন্তানের জন্ম দেবেন তিনি। গর্ভবতী হওয়ায় তাই তাঁর একার পক্ষে বাড়ির সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। পাশে একজনকে দরকার ছিল। তাছাড়া এই অবস্থায় নিজের বাড়ির একজনকে পাশে চাইছিলেন তিনি। তাই বোনকে এনে রেখেছিলেন নিজের কাছে। ১৫ বছরের মেয়েটি দিদির এই অবস্থায় দিদির শ্বশুরবাড়িতেই থাকছিল।
গত ১ জুন মধ্যরাতে একটা শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় গর্ভবতী দিদির। দেখেন তাঁর ১৫ বছরের বোনকে ধর্ষণ করছে তাঁর স্বামী। গর্ভবতী অবস্থাতেই তিনি আটকানোর চেষ্টা করেন স্বামীকে। কিন্তু কিশোরী শ্যালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা থেকে সরেনি ওই ব্যক্তি। তারপর আর স্থির থাকতে পারেননি স্ত্রী। বোনকে স্বামীর লালসার হাত থেকে বাঁচাতে হাতে তুলে নেন কুঠার।
স্বামীকে সরাতে না পেরে ওই কুঠারের কোপ বসিয়ে দেন স্বামীর ওপর। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ওই গর্ভবতী মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। ওই কিশোরীকে মেডিক্যাল টেস্টের পর তার পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের সিকারের ধোড় এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা