শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচতে দাদাকে হামানদিস্তা দিয়ে খুন করল বোন
তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে দাদা। এমনই দাবি করেছেন এক ২০ বছরের তরুণী।
ইটাওয়া (উত্তরপ্রদেশ) : বাবা, মা, ভাই, বোন। ৪ জনের সংসার। দাদা একটি কম্পিউটার কোর্স করছে। গত বুধবার বাড়িতে একাই ছিল ভাইবোন। বাবা-মা গিয়েছিলেন ভাই-বোনের মামার বাড়িতে। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে দাদা তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে দাবি করেছে ২০ বছরের ওই তরুণী। তাঁর দাবি তিনি আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দাদাকে আটকানো যাচ্ছিল না। সম্ভ্রম বাঁচাতে তিনি রুখে দাঁড়ান।
তরুণীর দাবি, তিনি দাদাকে আটকাতে হাতের কাছে থাকা একটি কাস্তে ও একটি হামানদিস্তা তুলে নেন। তারপর দাদার ওপর বসিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবক মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। দেহ নিথর হয়ে যায়। পুলিশ জানাচ্ছে ওই তরুণী তারপরই পুলিশ স্টেশনে হাজির হন। পুলিশকে সব কিছু খুলে বলেন। পুলিশকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। পুলিশ সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে পড়ে থাকতে দেখে।
ওই তরুণী নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এদিকে ওই তরুণীর দাবি তাঁর বাবা-মাই মানতে নারাজ। তাঁদের ছেলে বোনের সঙ্গে এমন কিছু করে থাকতে পারে একথা মানতে চাননি তাঁরা। তরুণীর কল রেকর্ড ও তাঁর দাদার কল রেকর্ড ঘেঁটে ও ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিক ঘটনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা