ঢুকেছিল জননেন্দ্রিয় দিয়ে, মূত্রথলি থেকে উদ্ধার মোবাইল চার্জারের তার
জননেন্দ্রিয় দিয়ে ঢোকানো হয়েছিল একটি মোবাইল চার্জার কর্ড। অবশেষে উদ্ধার হল সেটি।
গুয়াহাটি : চিকিৎসক তাঁর ফেসবুক পেজে পুরো বিষয়টি জানানোর সঙ্গে এটাও লিখেছেন যে তাঁর ৩০ বছরের কেরিয়ারে এমন হতবাক তিনি কখনও হননি। তিনি এটাও লিখেছেন এ পৃথিবীতে কিছুই বোধহয় অসম্ভব নয়! ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অসমের গুয়াহাটির ওই চিকিৎসক লিখেছেন, তাঁর কাছে কিছুদিন আগে বছর ৩০-এর এক যুবক আসেন। তিনি জানান, তিনি একটি হেডফোন গিলে ফেলেছেন। চিকিৎসক দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
ওই যুবককে পরীক্ষা করা শুরু হয়। পরীক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসক হতবাক হয়ে যান। ওই যুবক হেডফোন গিলে ফেলার কথা বললেও তাঁর পাকস্থলী বা খাদ্যনালীতে কিছুই তিনি খুঁজে পাননি। তাহলে গেল কোথায় হেডফোনটা! এরপর ওই যুবকের পেটের এক্স-রে করতে গিয়ে হতবাক হয়ে যান ওই চিকিৎসক। দেখেন একটি মোবাইল চার্জার কর্ড রয়েছে যুবকের মূত্রথলিতে!
শুরু হয় যুবকের পেট থেকে কর্ড বার করার কাজ। তা এমন অবস্থায় ছিল যে সেটা বার করতে অপারেশন করতে বাধ্য হন চিকিৎসক। অবশ্য অপারেশন সফল হয়েছে। কর্ডটিও বার করে আনা হয়েছে। ওই যুবকও ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন। ওয়ালিউল ইসলাম নামে ওই চিকিৎসক জানান, ওই মোবাইল চার্জার কর্ড যুবকের মূত্রথলিতে পৌঁছয় তাঁর গোপনাঙ্গ দিয়ে। জননেন্দ্রিয়ের মুখ থেকে মূত্রথলি পর্যন্ত যে নালিটি রয়েছে তা দিয়ে ওই তারটি ঢোকান ওই যুবক।
কেন এমন কাজ? চিকিৎসক জানাচ্ছেন, এটা এক ধরনের শারীরিক সুখের ইচ্ছা থেকে তৈরি হয়। তিনি এও জানান, ওই যুবকের সম্বন্ধে তিনি পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যুবকটি এর আগেও তাঁর জননেন্দ্রিয় দিয়ে বিভিন্ন জিনিস ঢোকানোর চেষ্টা করেছেন। এক্ষেত্রে ওই যুবক যদি প্রথমেই সত্যিটা বলতেন তাহলে অপারেশন না করে যেভাবে তিনি কর্ডটি নালি দিয়ে ঢুকিয়েছিলেন সেই পথেই তা বার করে আনা সম্ভব হত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু দেরি হওয়ায় অপারেশন করতেই হয়। অপারেশনটি হয় গুয়াহাটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা