গর্ভবতী সতীনকে রাস্তায় ফেলে পরপর গুলি
২ স্ত্রীয়ের মধ্যে ঝগড়া ছিলই। অবশেষে প্রথম পক্ষের স্ত্রী গর্ভবতী সতীনকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল।
মোরাদাবাদ (উত্তরপ্রদেশ) : প্রথম পক্ষ যেমন ছিলেন তেমনই ছিলেন। বছর দুয়েক আগে আলিয়া নামে এক তরুণীকে ফের বিয়ে করেন মহম্মদ জাকির। সতীন ঘরে আসতেই শুরু হয় অশান্তি। যা নিয়ে জাকিরও তটস্থ থাকতেন। প্রবল ঝগড়া মাঝেমধ্যেই চরমে উঠত। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর থেকে আলাদা করে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে আলাদা বাড়িতে রাখেন জাকির। তাতে মুখোমুখি ঝগড়া না হলেও ফোনে চলত তুমুল বিতণ্ডা।
এরমধ্যেই আলিয়া গর্ভবতী হন। তাঁর গর্ভে ৭ মাসের সন্তান ছিল। এই অবস্থায় সোমবার রাতে তুতোবোন মুসকানকে সঙ্গী করে ওষুধ কিনতে বার হন আলিয়া। ওষুধ কিনে ফেরার সময় আচমকাই আলিয়াকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে জাকিরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী শাবানা। গর্ভবতী অবস্থায় টাল সামলাতে না পেরে রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়েন আলিয়া।
মুসকান পুলিশকে জানিয়েছেন তারপরই তাঁর দিদি আলিয়ার দিকে তাক করে পরপর ৪ রাউন্ড গুলি চালায় শাবানা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছটফট করতে থাকেন আলিয়া। লোকজন জড়ো হয়ে যান। যদিও গুলি করে পালানোর কোনও চেষ্টাই করেনি শাবানা। পুলিশ পরে তাকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার পর থেকে জাকির পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা