করোনা নেগেটিভ রোগীকে পাকড়াও করেও শেষরক্ষা হল না
করোনা নেগেটিভ রোগী পালিয়েছিলেন হাসপাতাল থেকে। তাঁকে পাকড়াও করেও শেষরক্ষা হল না।
তিরুবনন্তপুরম : বয়স ৩৩ বছর। ওই যুবকের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা যাওয়ার পর তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। গত ২৯ মে সেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। অর্থাৎ ওই যুবকের করোনা হয়েছে। তারপরই তাঁকে একটি করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার ফের তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। দেখা যায় এবার নেগেটিভ এসেছে। করোনা মুক্ত হওয়ায় তাঁকে ছাড়ার প্রস্তুতি চলছিলই। তারমধ্যেই দেখা যায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে চম্পট দিয়েছেন ওই যুবক। শুরু হয় তল্লাশি।
ওই যুবক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সোজা তাঁর বাড়ি ফেরার জন্য এলাকায় প্রবেশ করেন। কেরালার তিরুবনন্তপুরমের আনান্দু এলাকার বাসিন্দা ওই যুবককে দেখে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে পাকড়াও করে ফের হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে আইসোলেশন রুমে ঢুকিয়ে দেয়। এর কিছু পরে তাঁর ঘরে যান এক নার্স। ঘরে ঢুকে আঁতকে ওঠেন তিনি।
হাসপাতাল থেকে পালিয়েও কাজ না হওয়ায় আইসোলেশন রুমেই আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। তাঁকে সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ওই করোনা মুক্ত যুবককে নামিয়ে আনা হয়। ওই যুবক মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। করোনা নেগেটিভ আসায় তাঁকে ছেড়েই দেওয়া হচ্ছিল হাসপাতাল থেকে। তারপরও কেন তিনি পালানোর চেষ্টা করলেন বা কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা