দিল্লির বিন্দাপুর এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরেই জলের সমস্যা চলছে। এই অবস্থায় এখানকার খুশিরাম পার্ক এলাকার বাসিন্দা চেতন কুমার বাড়ি ফিরে জমিয়ে বসেছিল মদ্যপান করতে। উইকএণ্ডে জমিয়ে গ্লাসে মদ ঢেলে তাতে জল মেশাতে গিয়েই বিপত্তি। মধ্যবয়সী চেতন জানতে পারে বাড়িতে পানীয় জল খুব সামান্যই রয়েছে। সকালে বার হওয়ার সময় সে বাবাকে জল ভরতে বলে গিয়েছিল। তাই বাবার কাছে জানতে যায় ব্যাপারটা কী? তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী সত্তরোর্ধ রামকুমার ছেলেকে জানান, শরীর খারাপ থাকায় তিনি জল ভরতে পারেননি। বাড়িতে পানীয় জল সামান্যই রয়েছে। ফলে তা মদে মেশানোর জন্য শেষ করা যাবেনা।
বাবার এই কথাতেই মাথায় রক্ত চড়ে যায় চেতনের। মদ্যপানের জল না পেয়ে খুন চেপে বসে তার মাথায়। একটা মোটা কাঠ দিয়ে বৃদ্ধ পিতাকে মারতে শুরু করে সে। পাড়ার লোকজন বাঁচাতে চেষ্টা করলে চেতন তাদের হুমকি দিয়ে জানায় তাদের পারিবারিক বিষয়ে মাথা না গলাতে। তারপর ফের চলে মার। মারের চোটে একসময় বৃদ্ধ রামকুমার মারা যান। এদিকে মারতে মারতে আচমকাই হুঁশ ফেরে চেতনের। রক্তাক্ত বাবাকে নিয়ে ছোটে হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চেতনের ১৪ বছরের মেয়ে ও ১২ বছরের ছেলে। তারাই পুলিশের কাছে সব সত্যিকথা খুলে বলে। চেতনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।