করোনাকাণ্ডে লগ্ন বয়ে গেল, তবু বর এল না
বিয়ের সময় বাঁধা। সেই লগ্ন বয়ে গেল। কিন্তু বর এল না বিয়ে করতে।
আমেঠি : কনের বাড়িতে সব তৈরি। সাজসজ্জা, লোকজন। বন্দোবস্তে ত্রুটি ছিলনা। কনেও তৈরি। অনেকটা পথ আসা। কনের বাড়িতে খবর পৌঁছেছিল বর বাড়ি থেকে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছেন। বরযাত্রীও সঙ্গে আসছে। কনের বাড়িতে লগ্ন থাকাকালীন পৌঁছতেও অসুবিধা হওয়ার নয়। কিন্তু কনের বাড়ির দিকে রওনা দিয়েও বর এল না। লগ্ন গেল বয়ে।
আমেঠির কামরাউলি গ্রাম থেকে রওনা দিয়ে বরের আসার কথা ছিল বারাবাঁকির হায়দরগড়ে কনের বাড়িতে। কিন্তু রাস্তায় ইনহাউনা বলে একটি জায়গায় ‘বারাত’ আটকায় পুলিশ। পুলিশ বর, বরের বাবাকে জানায় যে তাঁরা করোনা পজিটিভ। তাই বিয়ে করতে আর তাঁদের যেতে দেওয়া যাবেনা। সঙ্গে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুত বরের বাবা ও বরকে বরবেশেই নিয়ে রওনা দেন কোভিড হাসপাতালের উদ্দেশে। যাওয়ার কথা ছিল বিয়ে করতে। আর যেতে হল হাসপাতালে!
বর ও তাঁর বাবা দিল্লি থেকে গত ১৫ জুন ফেরেন গ্রামে নিজেদের বাড়িতে। ১৯ জুন বিয়ে। এদিকে দিল্লি থেকে ফেরার পর তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বিয়ের দিন বাড়ি থেকে বিয়ে করতে বার হওয়ার সময়ও করোনা রিপোর্ট পৌঁছয়নি। কিন্তু সেই রিপোর্ট বর রাস্তায় বার হওয়ার পর পুলিশের কাছে পৌঁছয়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মাঝপথে বর ও বরযাত্রীকে আটকে দেয়। বর ও তাঁর বাবাকে হাসপাতালে এবং বরযাত্রী ১০ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা