পক প্রণালীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সমুদ্রে নৌকা নিয়ে পাড়ি দিলে অনেক সময়ে রাতে ফেরা হয়না মৎস্যজীবীদের। সোমবার রাতেও তাঁদের নৌকা মাঝ সমুদ্রে ভাসছিল। অভিযোগ রাতের অন্ধকারে আচমকাই তাঁদের দিকে ধেয়ে আসে ৪টি শ্রীলঙ্কার নৌসেনার জাহাজ। ঘিরে ফেলে তাঁদের। তারপর বিনা প্ররোচনায় নিরস্ত্র নিরীহ মৎস্যজীবীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়। ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক। প্রত্যেকের দেহে একে ৪৭-এর গুলি পাওয়া গেছে। পরে তাঁদের রামেশ্বরমে ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। রামেশ্বরমের থঙ্গচিমাদাম এলাকায় জমায়েত করে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। মৎস্যজীবীদের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় কোনও মন্ত্রীকে তাঁদের কাছে এসে আশ্বাস দিতে হবে যে তাঁরা মাছ ধরতে গেলে শ্রীলঙ্কা সেনা যেন এভাবে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ না করে। তা না হলে তাঁরা মৃত মৎস্যজীবীর দেহ নেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীরা। শ্রীলঙ্কার যে সেনারা গুলি চালিয়েছে তাদের গ্রেফতারেরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। এদিকে এই ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হস্তক্ষেপের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী। হাত গুটিয়ে বসে না থেকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিনও। এদিকে এই ঘটনায় শোক ব্যক্ত করলেও তাদের সেনা গুলি চালিয়েছে একথা মানতে চায়নি শ্রীলঙ্কা।