National

মুখে ক্ষত, খেতে চেয়েও না পেরে মৃত হাতি

মুখে গভীর ক্ষত থাকলে কী খাওয়া যায়? খাওয়ার চেষ্টা করেও না পেরে মর্মান্তিক মৃত্যু হাতির।

চেন্নাই : চাইছে খাবার খেতে। কিন্তু মুখের গভীর ক্ষতের কারণে খাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। খেতেই পারছিলনা সে। সামনে খাবার থাকলেও নয়। চেষ্টা অবশ্য চালিয়ে গেছে। অতি কষ্টে একটু ফল খাওয়াতে পেরেছিলেন বনকর্মীরা। কিন্তু তাতে হাতির খোরাক পূরণ হয় কি? পর্যাপ্ত খাবার খেতে না পেরে আর মুখে গভীর ক্ষত নিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক পূর্ণ বয়স্ক হাতির। যা ফের একবার কেরালার গর্ভবতী হস্তিনীকে আনারসে বোমা লুকিয়ে খাইয়ে মুখে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যার ঘটনাকে মনে পরিয়ে দিল।

National News
ফাইল : কেরালায় বোমার আঘাতে মৃত হাতি, ছবি – আইএএনএস

কদিন আগেই কেরালায় এক হস্তিনীকে জলের মধ্যে বসা এবং মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মুখে গভীর ক্ষত ছিল। কেরালার পড়শি রাজ্য তামিলনাড়ুতেও প্রায় একই কাণ্ড ঘটল। কোয়েম্বাটুর জেলার আনাইকাট্টি এলাকায় একটি ক্ষেতের মধ্যে হাতিটিকে গত শনিবার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। হাতিটির নড়ার ক্ষমতাও ছিলনা। অসুস্থ হাতিটির খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন বনকর্মীরা। তাঁরা হাতিটিকে ফলের মধ্যে ওষুধ দিয়ে খাওয়ান। হাতিটিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিছুটা ফল অতি কষ্টে খেয়ে নিলেও তার মুখের ক্ষত যে তাকে কষ্ট দিচ্ছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। গত রবিবার হাতিটি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে।


রবিবার সুস্থ হয়ে সে জঙ্গলের দিকে হেঁটে চলে যায়। কিন্তু সোমবার ফের ফেরত আসে ঠিক সেখানে যেখানে তাকে বনকর্মীরা খাইয়েছিলেন। সেখানেই কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে পড়ে যায় হাতিটি। বনকর্মীরা এসে পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন হাতিটির দেহে আর প্রাণ নেই। হাতিটি হয়তো শেষ চেষ্টা করেছিল বাঁচার বলে মনে করছেন সকলে। বনকর্মীরা তাকে খাওয়াতে পারায় হয়তো ভেবেছিল ওই জায়গায় ফিরলে তাকে কিছুটা খাইয়ে দিতে পারবেন বনকর্মীরা। কিন্তু তা আর সম্ভব হল না। হাতিটির মুখের ক্ষত কি ফলে লুকোনো বোমার থেকেই হয়েছে? তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এমন বোমা বন্য শূকর তাড়াতে কাজে লাগান কৃষকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button