নবদম্পতির মাংস রান্না নিয়ে অশান্তি এই পর্যন্তও গড়াতে পারে
সবে বিয়ে হয়েছে। নতুন দাম্পত্য। নতুন সংসার। তারমধ্যেই এক ভয়ংকর কাণ্ড ঘটে গেল।
লখিমপুর (উত্তরপ্রদেশ) : সব কিছু শোনার পর সকলে একটাই কথা বলছেন। সবে বিয়ে হয়েছে। ১৫ দিনও হয়নি। এখনও নতুন বিয়ের গন্ধ যায়নি। তারমধ্যেই ২ জনে এমনটা করতে পারল! তাও আবার এমন এক তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে! স্বামীর বয়স ২২ বছর। স্ত্রীর ১৯। বিয়ে হয়েছে ১৫ দিনও কাটেনি। স্বামীর ঘরে সবে সব গুছিয়ে নিচ্ছিলেন রেশমা। আর তারমধ্যই ২ জনে এমন কাণ্ড ঘটালেন যে একজন প্রাণ হারালেন আর একজন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন।
সমস্যার সূত্রপাত রান্নাঘর নিয়ে। স্বামী গুরুদয়াল মাছ, মাংস খাওয়া মানুষ। আর তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী রেশমা সম্পূর্ণ নিরামিষাশী। রেশমা বিয়ের পর স্বামীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি কখনই তাঁর শ্বশুরবাড়ির রান্নাঘরে আমিষ রান্না করতে দেবেন না। এদিকে গত সোমবার গুরুদয়াল মাংস নিয়ে হাজির হন। তারপর মাকে বলেন তিনি যেন তাঁকে মাংস রেঁধে দেন। এদিকে রেশমা জানিয়ে দেন ওই রান্নাঘরে তিনি মাংস রান্না করতে দেবেন না। স্বামীর যদি খেতেই হয় তাহলে তাঁকে রান্নাঘরের বাইরে মাংস রাঁধতে হবে।
গুরুদয়ালও ছাড়ার পাত্র নন। তিনিও তাঁর মাকে দিয়ে জোর করে রান্নাঘরেই মাংস রান্না করান। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মাত্রা ছাড়ায়। পুলিশ জানাচ্ছে গভীর রাতে ২ জনেই ঝগড়ার মাঝে কোনও বিষাক্ত বস্তু খেয়ে নেন। ছেলে ও পুত্রবধূ বিষপান করেছেন দেখে গুরুদয়ালের বাবা ২ জনকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন। সেখানে রেশমার মৃত্যু হয়। গুরুদয়াল মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা