শহরে তারস্বরে বাজল মাইক, বাসিন্দারা রইলেন গৃহবন্দি
গুরুগ্রামে আজব কাণ্ড। শনিবার সকালে প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় বেজে উঠল তারস্বরে মাইক।
গুরুগ্রাম : তারস্বরে মাইক বাজানো মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রশাসনও তাতে সম্মতি দেয়না। তবে শনিবার সকালে উল্টোটাই হল গুরুগ্রামে। প্রশাসনের তরফেই বাসিন্দাদের জানানো হয় বাড়িতেই যেন তাঁরা থাকেন। সব দরজা জানালা বন্ধ রাখেন। কেউ বাইরে বার না হন। আর যেন প্রচুর আওয়াজ করতে থাকেন। আওয়াজ করার জন্য বাসিন্দারা অনেকই বেছে নেন মাইক বা বক্স। মিউজিক সিস্টেমের আওয়াজ যতটা জোরে করা সম্ভব তাই করা হয়। এছাড়াও নানাভাবে আওয়াজ তৈরি করা হয়।
এমন আজব কাণ্ডকারখানার কারণ রয়েছে। শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। ১১টা নাগাদ আচমকাই শহরের আকাশ ঝাপসা হতে থাকে। আকাশের মুখ ঢেকে দেয় হাজার হাজার পঙ্গপাল। কার্যতই শহরে হামলা চালায় তারা। পঙ্গপালের এমন হামলায় প্রথমে হকচকিয়ে যান অনেকে। অনেকেরই বাড়িতে ঢুকে পড়ে পঙ্গপাল। দ্রুত যে যেখানে ছিলেন সকলে ঘরের মধ্যে আশ্রয় নেন। ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রশাসনের তরফেও পঙ্গপাল থেকে বাঁচতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয় গুরুগ্রামবাসীকে। গোটা শহর যখন পঙ্গপালের দখলে তখন শহরকে বাঁচাতে ও পঙ্গপাল তাড়াতে জোড়াল আওয়াজ করতে থাকার পরামর্শ দেয় প্রশাসন। সেই কথা শুনে গুরুগ্রামের বহু মানুষ ঘরেই তারস্বরে মিউজিক বা গান বাজাতে থাকেন। থালা বাসনও বাজানো হয়। কিছু এলাকায় মাইক বাজানো হয়। একঘণ্টা ধরে গুরুগ্রাম কার্যত ছিল পঙ্গপালদের দখলে। তারপর তারা শহর ছেড়ে এগিয়ে যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তর ও উত্তর পশ্চিম ভারত জুড়ে পঙ্গপালের হামলা চলছে। হেক্টরের পর হেক্টর জমির ফসল সাফ করে দিচ্ছে পঙ্গপালের দল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা