প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মী গউস মহম্মদ খানকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসদমন শাখা। কানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি, গউসই ছিল উজ্জয়িনী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড। দেশে আরও বড় ধরণের আক্রমণের ছক কষছিল সে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইসিসের খোরাসান মডিউলের মাথা ছিল গউস। সইফুল্লা তার কথাতে কাজ করছিল। এছাড়াও আইসিস মডিউলের বেশ কয়েকজন গউসের কথামত চলত। প্রায় ১১ ঘণ্টা গুলির লড়াইয়ের পর লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জে গত বুধবার ভোরে এটিএসের গুলিতে মারা যায় সইফুল্লা। এরপর দেশে আইসিসের জাল খুঁজতে আরও তৎপর হয় এটিএস। জানতে পারে উজ্জয়িনী প্যাসেঞ্জারে বিস্ফোরণের পর গউসকেই প্রথমে খবর দেয় সউফুল্লা। এরপর বৃহস্পতিবার গউসকে কানপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারসঙ্গে আজহার নামে আরও এক আইসিস মডিউলের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গউসকে গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশ এটিএসের বড় সাফল্য হিসাবেই দেখা হচ্ছে। এদিকে লখনউ এনকাউন্টার ও উজ্জয়িনী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিস্ফোরণের তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দেওয়া হয়েছে বলে এদিন সংসদে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।