ভাং দিয়ে আলুর তরকারি খেয়ে হাসপাতালে ৬
আলুর তরকারিতে ভাল করে ভাং ছড়িয়ে রান্না হয় তরকারি। যদিও না বুঝেই। তারপর তা খেয়ে গোটা পরিবার হাসপাতালে।
কনৌজ : বাজার করতে বেরিয়েছিলেন পরিবারের একজন। তাঁকে পাড়ারই এক ব্যক্তি একটি প্যাকেট দেন। জানান ওটা শুকনো মেথি পাতা। শুকনো মেথি পাতা সুস্বাদু। নানা রান্নায় ব্যবহারও হয়। পাড়ার নওলকিশোর গুপ্তা ওই প্যাকেট পাড়ারই বাসিন্দা ওমপ্রকাশের ছেলে নীতীশের হাতে ধরাতে নীতীশ আর না করেননি। সেটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওই প্যাকেট থেকেই মেথি পাতা বার করে একটি তরকারি রাঁধেন নীতীশের শ্যালিকা পিঙ্কি। তারপর সকলে খেতে বসেন।
খাবার খাওয়ার সময় খুব যে অন্য রকম লেগেছিল তা নয়। তাই সকলে খেয়ে নেন। কিন্তু খাওয়ার পর থেকেই পরিবারের ৬ জনেরই শরীর খারাপ করতে শুরু করে। বমিভাব তৈরি হয়। গা গুলোতে থাকে। দ্রুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে একজন ওই অবস্থাতেই পাড়ার একজনকে ফোন করে জানান তাঁরা ক্রমে অচেতন হয়ে পড়ছেন। ওই ব্যক্তি তারপর পুলিশে ফোন করেন।
পুলিশ হাজির হয়ে দেখে পরিবারের ৬ জনই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে ছোটে পুলিশ। সেখানে আপাতত ৬ জনই চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশের কনৌজের মিয়াগঞ্জ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে আসলে যাকে মেথি পাতার প্যাকেট ভেবে তরকারি রাঁধা হয়েছে তা মেথি পাতাই নয়। তা আসলে শুকনো ভাং। যা কার্যত মাদক হিসাবে ব্যবহার হয়। পুলিশ নওলকিশোরকে গ্রেফতার করেছে। বাকি তরকারিও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা