আয়নায় লিখে শ্বশুরবাড়িকে বাঁচিয়ে গেলেন সদ্য বিবাহিতা
আয়নায় তাঁর হাতে লেখা কিছু কথা গোটা শ্বশুরবাড়িটাকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেল।
মুজফ্ফরনগর (উত্তরপ্রদেশ) : বিয়ে ছিল গত রবিবার। বিয়ে বেশ ধুমধাম করেই হয়। ২ পক্ষই বিয়েতে আনন্দ করেছে। খুশিতে মেতেছে। বর-কনেও খুশি। সোমবার নিয়মমতো বাড়ির সকলকে বিদায় জানিয়ে স্বামীর হাত ধরে শ্বশুরবাড়িতে পা রাখেন সদ্য বিবাহিতা এক তরুণী। শ্বশুরবাড়ির সকলে তাঁকে স্বাগত জানান, প্রথা পালনের পর ফুলসজ্জাও হয়। তারপরই গত কয়েকদিনের খুশিতে মুহুর্তে গ্রহণ লাগে। সব খুশি মুছে যায় শ্মশানের নিস্তব্ধতায়।
গত বুধবার ওই সদ্য বিবাহিতা তরুণী তাঁর ঘরেই ছিলেন। ঘর বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় ঘর বন্ধ থাকায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন দরজায় ধাক্কা দেন। কোনও সাড়া নেই। অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। সিলিং থেকে ঝুলছেন সবে বাড়িতে পা রাখা নতুন বউ। খবর যায় পুলিশে।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। ঘরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা দেখেন আয়নার ওপর একটি সুইসাইড নোট। আয়নার কাচের ওপরই লেখা। যেখানে লেখা আছে তাঁর মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন দায়ী নন। তরুণীর একটি লেখা গোটা শ্বশুরবাড়িটাকে এক চরম হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করে দেয়। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শ্বশুরবাড়ি যদি দায়ী না হয় তাহলে সবে বিয়ে করা একটি মেয়ে কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তা খুঁজে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা