পাতা ফাঁদে পা, দুষ্কৃতি ধরতে গুলিতে ঝাঁঝরা ৮ পুলিশকর্মী
দুষ্কৃতিদের ধরতে গিয়ে ফাঁদে পা দিল পুলিশ। পাল্টা দুষ্কৃতিদের গুলিতেই ঝাঁঝরা ৮ পুলিশকর্মী।
কানপুর : খবর ঠিকই ছিল। ৬০টি ফৌজদারি মামলায় পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। সেই কুখ্যাত দুষ্কৃতি বিকাশ দুবে একটি গ্রামে লুকিয়ে আছে সে খবরটা রাতেই পৌঁছেছিল পুলিশের কানে। দেরি করেনি পুলিশও। ৫০ জনের পুলিশবাহিনী মধ্যরাতেই গ্রামে ঢোকে বিকাশকে পাকড়াও করতে। বিকাশ যে সহজে হাতে আসার নয় তা বিলক্ষণ জানা ছিল পুলিশের। তাই যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশকর্মী নিয়েই গ্রামে হাজির হয় বাহিনী। কিন্তু গ্রামে কিছুটা ঢুকতেই রাস্তার ওপর একটি জেসিবি মেশিন দেখতে পায় তারা। যা দিয়ে পথ আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এটা দেখার পরই পুলিশ বুঝতে পারে তারা যে আসছে তা আগেই দুবের দলের কাছে খবর রয়েছে।
তখন রাত সাড়ে ৩টে। পুলিশ জেসিবি মেশিনে আটকানো পথ পেরিয়ে যে বাড়িতে বিকাশ লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর ছিল সেটার দিকে এগোয়। আর তখনই বাড়ির ছাদ থেকে বৃষ্টির মত তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ হতে থাকে। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যেতে থাকে একের পর এক পুলিশের দেহ। তাঁরা লুটিয়ে পড়তে থাকেন মাটিতে। ছাদ থেকে গুলির সঙ্গে সঙ্গে উড়ে আসতে থাকে বিশাল বিশাল পাথরের খণ্ড। যা থেকেও বড়সড় আঘাত পেতে থাকেন পুলিশকর্মীরা।
অগত্যা পিছু হঠতে বাধ্য হয় পুলিশ। আর তখনই বিকাশের গোটা দল রক্তাক্ত পুলিশকর্মীদের কাছ থেকে বন্দুক ও গুলি ছিনিয়ে সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে চম্পট দেয়। গুলিতে মৃত্যু হয় এক সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ ৮ পুলিশকর্মীর। সকলের দেহেই একাধিক গুলি বিঁধেছে। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কাছে ভিকরু গ্রামে। শুক্রবার রাতভোরের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আইজি, এডিজি সহ শীর্ষকর্তারা সকলে হাজির হন গ্রামে। গুলিতে আহত পুলিশককর্মীদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অবিলম্বে দুষ্কৃতিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুলিশ উঠেপড়ে লেগেছে বিকাশ দুবে সহ তার দলবলকে পাকড়াও করতে। শুক্রবার সকালে বিকাশের নাগাল না পেলেও তার ২ সাগরেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা