স্বামীকে লুকিয়ে ২ পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক, মেয়েকে হারালেন যুবতী
স্বামী ঘুণাক্ষরেও জানতেন না স্ত্রীর অন্য সম্পর্কের কথা। সেই অবৈধ সম্পর্ক ওই মহিলার কোল খালি করল।
হায়দরাবাদ : স্বামী যখন অফিসে থাকতেন তখন লুকিয়ে পুরুষ বন্ধুরা বাড়ি আসতেন। ২ পুরুষের সঙ্গে ফেসবুকে সম্পর্ক তৈরি হয় যুবতীর। সেই ২ পুরুষ বাড়ি আসতেন। তবে একসঙ্গে নয়। তাঁরাও আবার জানতেন না একে অন্যের কথা। স্বামী ও ২ পুরুষ বন্ধুর কাউকে কারও কথা জানতে দেননি ওই যুবতী।
চলছিল বেশ। গত বৃহস্পতিবার তাঁর এক পুরুষ বন্ধু রাজশেখর বাড়িতে আসেন দুপুরে। ফাঁকা বাড়িতে ছিলেন ২ জনে। ঠিক তখনই সেখানে আগে থেকে খবর না দিয়েই হাজির হয় আর এক পুরুষ বন্ধু করুণাকর।
করুণাকরকে দেখে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে যুবতীর। তিনি তখনই রাজশেখরকে একটি ঘরে লুকিয়ে দেন। তারপর করুণাকরকে ঘরে ঢোকান। করুণাকর ঘরে ঢুকেই বুঝতে পারে যে ঘরে অন্য কেউ ছিল। তাতে সে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। সাফ জানায় যেই লুকিয়ে আছে তাকে বেরিয়ে আসতে। না বার হলে সে যুবতীর মেয়েকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। কিন্তু রাজশেখর সেকথায় কান দেননি। তারপরই করুণাকর ওই যুবতীর ৫ বছরের কন্যাকে তুলে নেয়। কাছে পড়ে থাকা একটি ব্লেড দিয়ে তার গলা কেটে দেয়।
এমন কাণ্ডে রাজশেখর আর ঘরে থাকতে পারেননি। বেরিয়ে আসেন। আর আসতেই রাজশেখর ও ওই যুবতীর ওপর ব্লেড হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে করুণাকর। ওই যুবতী ও রাজশেখরকে রক্তাক্ত করার পর নিজের ঘাড়েও ব্লেড চালিয়ে দেয় করুণাকর। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে ৪ জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ বছরের মেয়েটির মৃত্যু হয়। বাকি ৩ জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পুলিশকে ওই মহিলার স্বামী জানিয়েছেন তিনি স্ত্রীর এসব সম্পর্কের কথা কিছুই জানতেন না। কিন্তু এই অবৈধ সম্পর্ক তাঁর ৫ বছরের মেয়েকে তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিল। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের কাছে পোচানাম এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা