অদ্ভুত সব জিনিস দেখছিলেন, ঝাঁপ দিলেন করোনা আক্রান্ত সাংবাদিক
করোনা আক্রান্ত অবস্থায় ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সোমবার হাসপাতালের ৪ তলা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি।
নয়াদিল্লি : পেশায় সাংবাদিক। বয়স ৩৭ বছর। তাঁর দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ২৪ জুন। করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাঁকে দিল্লি এইমস-এর ৪ তলায় ট্রমা সেন্টারের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আইসোলেশন রুমে ছিলেন তিনি। সোমবার দুপুরে আচমকা এইমস চত্বরে কিছু পড়ার শব্দে সকলে ছুটে আসেন। দেখেন ওই করোনা আক্রান্ত সাংবাদিক ঝাঁপ দিয়েছেন ৪ তলা থেকে।
হাসপাতালের কর্মীরা জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তি যে বাথরুম ব্যবহার করতেন সেই বাথরুমের জানালা গ্রিল দিয়ে ঘেরা ছিল। সেই গ্রিল সরিয়ে সেই ফাঁক দিয়ে ঝাঁপ দেন ওই ব্যক্তি। ৪ তলা থেকে পড়লেও ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। তাঁর অনেকগুলি হাড় ভেঙে গিয়েছিল। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। একে করোনা আক্রান্ত। তারওপর এভাবে শরীর জুড়ে হাড় ভাঙা। চিকিৎসকেরা তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালান। কিন্তু তাঁদের সব চেষ্টা বিফল করে দিয়ে ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর ওই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।
করোনা চিকিৎসা তো চলছিলই। তাহলে কেন ঝাঁপ? চিকিৎসকেরা মনে করছেন এর পিছনে তাঁর মাঝেমধ্যেই অদ্ভুত কিছু দেখা, যা হচ্ছেনা তা মনে হওয়া বা হ্যালুসিনেশন দায়ী। এই দৃষ্টিভ্রম তাঁর হচ্ছিল প্রবল মানসিক চাপ থেকে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। ওই ব্যক্তি প্রবলভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা